পঞ্জশিরে গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে তালিবানের। সালেহ-মাসুদের নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের প্রতিরোধে পিছু হঠল তালিবান। বদকাশানের অঞ্জুমান পাস দিয়ে শেষবারের মতো পঞ্জশিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে। সালেহ বলেছেন, একজন তালিবান ঢুকলে পরিণাম ভয়াবহ হবে। ইতিমধ্যে বহু তালিবানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে নতুন স্ট্র্যাটেজির সন্ধানে জঙ্গিরা। এর মাঝে সিআইএ-বরাদর বৈঠক হয়েছে। অন্যদিকে মোদি-পুটিন দীর্ঘ কথাও হয়েছে। তালিবানের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কাবুল থেকে অপহৃত ইউক্রেনের বিমান!
অন্যদিকে যত সময় এগোচ্ছে তালিবানি অত্যাচার দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে। তালিবানের ঘোষণা, কোনও মহিলা কাজ করতে পারবেন না। তাঁরা ঘরে থাকবেন। আর কোনও আফগান দেশ ছাড়তে পারবে না বলে নির্দেশ তালিবানের। বিমানবন্দর যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ। দেশের খাবারের অভাব শুরু হয়েছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যে সব মার্কিনিদের দেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে। নইলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি। তবে এই প্রথম আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মনোভাব তৈরি হয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে শক্তি প্রয়োগ করে বিদ্রোহ দমন করা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পড়ছে তালিবানের।
