গ্রিনল্যান্ড উপকূলে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ আবিষ্কার

সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়

নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। যা এখন থেকে পরিচিতি পাবে বিশ্বের সর্ব উত্তর প্রান্তের এক নয়া স্থলভাগ হিসাবে। এটি গ্রিনল্যান্ড উপকূলের মধ্যে পড়ছে। নয়া দ্বীপ আবিষ্কারের নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী মর্টেন রাশ। তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘‘দ্বীপটি একটি ডেনমার্ক-সুইস গবেষণা অভিযানের সময় আবিষ্কৃত হয়।’’

মূলত উডাক দ্বীপের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ছয় বিজ্ঞানী। এই দ্বীপটি আবার ১৯৭৮ সাল থেকেই বিজ্ঞানীদের আকর্ষণের কেন্দ্র এবং এটিই ছিল এর আগে বিশ্বের সর্ব উত্তর প্রান্তের দ্বীপ। এই উডাক দ্বীপের অবস্থান গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত আর্কটিক অঞ্চলে, যা আবার ডেনমার্কের অন্তর্গত। এখানকার চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় বসবাসকারী প্রাণীরা কীভাবে জীবনযাপন করে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছিলেন। সেই কাজ চলাকালীন বিজ্ঞানীরা ড্যানিশ কর্মকর্তাদের থেকে জানতে পারেন উডাক থেকে তাঁরা ৮০০ মিটার উত্তরে চলে এসেছেন, যা অন্য একটি দ্বীপাঞ্চল, যার দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার, প্রস্থ ৩০ মিটার।
এরপরেই তাঁরা জানতে পারেন, এই দ্বীপটিই উত্তর মেরুর নিকটতম স্থলভূমি অর্থাৎ এটিই এখন থেকে বিশ্বের সর্ব-উত্তরের দ্বীপ। দ্বীপটি বেশ অদ্ভুত। এখানে সবুজের লেশমাত্র নেই। তবে কাদা, গ্রাবরেখার স্তূপ আর নুড়িতে ভর্তি, চারদিকে সমুদ্রের বরফ বেষ্টিত। বিজ্ঞানীরা দ্বীপটির নাম দিতে চান ‘কিকার্তাক আভাননার্লেক’, গ্রিনল্যান্ডের ভাষায় যার অর্থ ‘সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ’।

বিজ্ঞানী রাশের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনাক্রমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপটি আবিষ্কার করে ফেলেছি। বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরসীমায় পৃথিবীর প্রথম ছয় মানুষ আমরা। আপাতত এটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।’’

আরও পড়ুন- রাজ্যে বাড়ল করোনা বিধিনিষেধের সময়সীমা, খুলছে কোচিং সেন্টার

advt 19

 

Previous articleরাজ্যে বাড়ল করোনা বিধিনিষেধের সময়সীমা, খুলছে কোচিং সেন্টার
Next articleবাংলাদেশে ভয়াবহ নৌকাডুবি, দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২২!