Wednesday, November 12, 2025

বদলা নিল আমেরিকা, ড্রোন হামলায় খতম কাবুল বিস্ফোরণের মূল চক্রী

Date:

বৃহস্পতিবার হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের সামনে জোড়া বিস্ফোরণের বদলা নিল আমেরিকা। মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম হল ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসআইএস-কের জঙ্গি।

মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরে হামলার বদলা নিতে শুক্রবার রাতেই আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলাতেই খতম হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে সামনে জোড়া বিস্ফোরণ হামলার মূল চক্রী। আমেরিকান সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন বিল আরবান জানিয়েছেন, তাঁরা আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন। একেবারে নির্ভুল নিশানায় হামলা চালিয়েছেন তাঁরা। এই ড্রোন হামলায় কাবুল বিমানবন্দরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী খতম হয়েছে। তবে ওই হামলায় একজনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাবুল। তালিবানরা দেশের ক্ষমতা দখল করার পর হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছাড়তে উদগ্রীব হয়েছেন। দেশ ছাড়তে চাওয়া মানুষই হাজির হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। একটি মার্কিন বিমান আফগান নাগরিকদের নিয়ে ওড়ার অপেক্ষা করছিল। ঠিক তার আগেই ঘটে বিস্ফোরণ। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণে ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা। ব্রিটেনের বেশ কয়েকজন সেনাও জখম হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান।

বৃহস্পতিবারই ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস-কে। জঙ্গিগোষ্ঠী স্পষ্ট জানিয়েছিল, যে সমস্ত আফগান নাগরিক মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করছে, ওই সমস্ত মানুষকে খতম করাই তাদের লক্ষ্য। বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন, যারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা কেউ পার পাবে না। বিস্ফোরণ-কাণ্ডে জড়িতদের আমেরিকা খুঁজে বের করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে। বাইডেনের ওই হুমকির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাবুল হামলার মূল চক্রীকে খতম করল মার্কিন সেনা। বৃহস্পতিবারের ওই হামলা ছিল ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা। ২০১১ সালে আফগানিস্তানে একটি মার্কিন বিমান গুলি করে নামিয়েছিল তালিবান। ওই ঘটনায় ২০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ভয়াবহ নৌকাডুবি, দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২২!

এদিকে, বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৩। চিকিৎসাধীন আহত বহু মানুষের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাই অনেকেই মনে করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। এরই মধ্যে আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধ ও রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মানুষকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘটনার পর দু’দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও মানুষের চোখে- মুখে রয়েছে তীব্র আতঙ্ক। কাবুলের পথঘাট এক অজানা আতঙ্কে কাঁপছে। কেউই বুঝতে পারছেন না, কখন কোথা থেকে কী হয়ে যাবে। খাদ্য, পানীয় ও ওষুধের চরম সংকট৷

 

Related articles

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...

আর্থিক দুনীতির গুরুতর অভিযোগ, রাজ্য ভলিবল সচিবের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিদ্রোহ

নজিরবিহীন কাণ্ড রাজ্য ভলিবলে(Volleyall)। সচিব পল্টু রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কর্তাদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার পল্টুর অনুগামীরা...
Exit mobile version