Sunday, August 24, 2025

উত্তরবঙ্গে ক্রমশ নিজেদের শক্তি হারাচ্ছে বিজেপি। বাড়ছে দলের অন্দরে ক্ষোভ। আর তার মূল কারণ নিজেদের দলের নেতা-মন্ত্রীরা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোদি-শাহ তথা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলাকে অশান্ত করে তোলার লাগাতার চক্রান্তের শরিক হয়ে দুই মন্ত্রীর কার্যকলাপে জলপাইগুড়িতে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে।

কোভিডবিধি না-মেনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক(Nisith Pramanik) প্রচুর গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রা করেছেন। আর তার এই যাত্রাকে সমর্থন করে জমায়েত এবং পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির অভিযোগে জেলার ২৭৩ জন নারায়ণী সেনার সদস্যকে জেলে যেতে হয়েছে। এর মধ্যে ২২৩ জনের জামিন হলেও বাকিদের এখনও হয়নি। অর্থাৎ বাকিরা এখনও জেলে। মূলত কোভিডবিধি লঙ্ঘন ও পুলিশের ওপর আক্রমণের অপরাধেই এই শাস্তি। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতার কথায়, নিশীথের এই জনসমাগম একেবারেই অনভিপ্রেত ছিল। তাঁর এই কার্যকলাপে অসন্তোষ বাড়িয়েছে দলে।

আরও পড়ুন- পানাগড়ে ৪০০ কোটি বিনিয়োগে নতুন কারখানা, শিলান্যাসে মঙ্গলবার দুর্গাপুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, ‘এসব বিভিন্ন কারণে মানুষ বিজেপির সঙ্গে আর নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।’ এ পর্যন্ত বিভিন্ন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ৫০০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আর তাদের জামিন করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জেলা নেতৃত্ব।

আর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার(John Barla) বঙ্গভঙ্গ নীতি এবং হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়গুলি দলীয় কর্মীদের ওপর যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে এসে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বঙ্গভঙ্গকে সায় দেওয়ায় দলীয় কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দিয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ এই সমস্যাগুলো আখেরে সুবিধে করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version