বাঙালি বিদ্বেষ, বঞ্চনা! কেন্দ্রের চাকরির পোর্টালে ঠাঁই নেই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের

ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস। কেন্দ্রের শ্রমন্ত্রকের অধীনস্থ পোর্টাল। যেখানে লক্ষ্য দেশজুড়ে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান। আসমুদ্র হিমাচল চাকরির বাজারে জোয়ার। আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের
এই পোর্টালের উপর নাকি দেশের কোটি কোটি বেকারের ভাগ্য পরিবর্তন হবে! তাই দেশজুড়ে পোর্টালটির উপর চাকরিপ্রার্থীদের আশা-ভরসা অনেক। ব্যতিক্রম নয় এরাজ্যও।

এত পর্যন্ত সব ঠিক আছে। এবার মোদির এই পোর্টালের বাস্তবতার দিকে একটু তাকানো যাক। আদৌ কী বেকার যুবক-যুবতীদের আশা-ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পেরেছে
ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস নামক কেন্দ্রের এই পোর্টালটি?
চাকরির সেই আশা কি আদৌ পূরণ হচ্ছে? এ রাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা কি প্রকৃত পক্ষে এই পোর্টাল দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। নাকি এখানেও মোদির সেই ১৫ লাখি বুজরুকি?

আরও পড়ুন-বিপ্লবের মন্ত্রিসভায় ব্রাত্য সুদীপ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা, বাড়ছে তৃণমূল যোগের জল্পনা

এ রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের এই পোর্টাল দ্বারা উপকৃত হওয়া নিয়ে কী বলছে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য? উত্তর, এই পোর্টাল দ্বারা বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরির ভাঁড়ার কার্যত “শূন্য”! ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এরাজ্য থেকে মোদির ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস পোর্টালে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার যুবক-যুবতী। আর চাকরি হয়েছে মাত্র ২৬ জনের! সেই জায়গায় গুজরাত বা উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এই একই পোর্টাল থেকে কাজ পাচ্ছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী! খুব স্বাভাবিক ভাবেই
অভিযোগ উঠছে, বঞ্চনা করা হচ্ছে বাংলাকে। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের। এখানে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার সিকি ভাগও জোটে না পশ্চিমবঙ্গের ছেলে-মেয়েদের ভাগ্যে। পরিসংখ্যান বলছে, কেন্দ্রের পোর্টালে খুব আশা নিয়ে প্রায় ২ লক্ষ আবেদন করেও বাংলা থেকে নিয়োগ এক বছরে মাত্র ২৬। বঞ্চনার অভিযোগ ওঠাটা তাই স্বাভাবিক।

অর্থাৎ, এখান থেকেই প্রমাণিত কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার এই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা। তাছাড়া কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষ ও বাংলার প্রতি বঞ্চনা এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে ফের একবার সামনে এলো।

advt 19

 

Previous articleপরিবহন মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় উঠে গেল পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট
Next articleঘাটাল মাস্টার প্ল্যান: কেন্দ্রের ‘দেখার’ আশ্বাস, না আঁচালে বিশ্বাস নেই তৃণমূলের