আগরতলা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ছয় তৃণমূল নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ যে মামলা করেছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছেন তৃণমূলের সুবল ভৌমিক। বৃহস্পতিবার এর শুনানিতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নে ফের বিপাকে পড়ল ত্রিপুরা সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেল এর যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। প্রধান বিচারপতি বলেছেন তিনি সব নথি ও ভিডিও খতিয়ে দেখবেন।
আসলে খোয়াই মামলার আসল রহস্য লুকিয়ে আছে তেলিয়ামুড়া থানার মামলায়। সুদীপ রাহা, আশিসলাল সিং, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যসহ চোদ্দজন তৃণমূল নেতাকর্মীকে তেলিয়ামুড়া থানা মামলা দেয়। কোভিডবিধি ভাঙার অভিযোগে। ননকগনিজেবল জামিনযোগ্য মামলা সেটি। হাইকোর্ট নজর করেছেন, তেলিয়ামুড়া থানা মামলা করলেও ধৃতদের অন্য পুলিশ লাইনে রাখা হয়। তারপর খোয়াই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কোর্টে পাঠানো হয়। অথচ যে ধারায় গ্রেপ্তার, তাতে থানা থেকেই জামিন দেওয়া যেত। পুলিশ সেটা করেনি বলেই তো অভিষেকসহ বাকিদের খোয়াই থানায় যেতে হয়েছিল। ফলে অভিষেকদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগ দিতে গেলে আগে দেখতে হবে তাঁদের যেতে হল কেন? প্রধান বিচারপতি এই প্রশ্ন করেন ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেলকে। কিন্তু তার সদুত্তর ছিল না।

আরও পড়ুন –নয়া চমক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি হচ্ছে দেবী দুর্গার মূর্তি

তৃণমূলের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ও বিশ্বজিত দেব বলেন অভিষেকরা কোনো কাজে বাধা দেননি। পুলিশই বেআইনি কাজ করেছে। তখন বিচারপতি বলেন এসংক্রান্ত সব নথি ও ভিডিও তিনি নিজে দেখবেন। তারপর তিন সপ্তাহ পরে আবার শুনানি। এর মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দিতে পারবে না। সরকারপক্ষ জানায় তদন্ত শেষ। তবুও আদালত বলে দেন কোনো চার্জশিট দেওয়া যাবে না। বিশ্বজিৎ দেব পরে বলেন,” আদালত অনুভব করছেন খোয়াই মামলার আড়ালে আসলে তেলিয়ামুড়া থানার অভিযোগকে ঘিরে পুলিশের বেআইনি কাজ রয়েছে। ঐ চোদ্দজনকে জোর করে আটকে রাখার জন্যেই অভিষেকবাবুদের যেতে হয়েছিল। তাঁরা কোনও আইনবহির্ভূত কাজ করেননি।”
