ঘোর বর্ষায় শীতের সবজি মূলো চাষ করে তাক লাগালেন ধুপগুড়ির কৃষকরা

বর্ষায় ধুপগুড়িতে মূলো চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন ধূপগুড়ির গাদং-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শালবাড়ীর জলপাইগুড়ি অরগানিক এগ্রো ফার্মাস ক্লাবের কৃষকরা। মূলত মূলো ধূপগুড়ি ব্লকে শীতের সময় চাষ হয়। বর্ষায় দার্জিলিং, সিকিম, শিলং এলাকায় মূলোর চাষ হয়ে থাকে। তাই বর্ষার সময় ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সে মূলোর দাম এবং চাহিদা দুই-ই থাকে। জানা গেছে, মূলোর প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ টাকার মতো দাম থাকে। তাই এই ফার্মাস ক্লাবের কৃষকরা, ভাবে বর্ষার সময় ধূপগুড়িতে মূলো চাষ করলে কেমন হয়। অবশেষে কৃষি দফতরের পরামর্শে তারা বর্ষার সময় মূলোর চাষ করা শুরু করেন। জানা গেছে, শীতের সময় যেভাবে মূলো চাষ করা হয় বর্ষার সময় তেমন করে মূলোর চাষ করা যায় না। তখন টেনেলের মধ্যে মূলো চাষ করতে হয়। তবে খরচ পরিমান অনেকটা বেশি হলেও লাভের মুখ দেখতে পান কৃষকরা। এই ফার্মাস ক্লাবের কৃষকদের কথায়, এলাকার চাষিদের উৎসাহিত করতে এবং পরীক্ষামূলকভাবে এবছর প্রথম বর্ষায় মূলো চাষ করা হলো। তাতে লাভ মিলছে। এবং এলাকার কৃষকরা এই চাষ দেখে উৎসাহিত হয়েছে। এই ফার্মাস ক্লাবের সদস্য, গৌতম সরকার বলেন, আসলে বর্ষার সময় টানেল তৈরি করে মূলোর চাষ করা হয়। এই চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বেশি খরচ হয়। প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষ করতে আনুমানিক খরচ পরে এক লাখের কাছাকাছি। তবে এই সিজনে বাজারে মূলোর অনেক বেশি চাহিদা থাকায় লাভের মুখ দেখতে অসুবিধা হয়না কৃষকদের। অপর কৃষক সত্যনন্দ্র নাথ রায় সবাইকে একটু একটু করে বর্ষায় সময় মূলো চাষ করার পরামর্শ দেন। এই সময়ে অল্প পরিমাণ জমিতে এই ধরনের চাষ করার পরামর্শ দেন। যাতে কৃষকরা বুঝতে পারে এই সময়ে মূলো চাষে কতটা লাভের আশা করা যায়। আর একজন কৃষক দিনবন্ধু রায় বলেন, তবে বর্ষায় মূলো চাষ করলে ধসা রোগের আক্রান্ত হওয়ার খুবেই সম্ভবনা দেখা দেয়। তবে ঠিক সময় জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এই বিষয়ে পারামর্শ দিয়ে আমাদের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ধূপগুড়ি ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন।

advt 19

 

Previous articleনদিয়ায় ৫৭ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleনেপালের বিরুদ্ধে ড্র করল ভারতীয় দল