কলকাতার হাসপাতালে সফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন, পূর্ব ভারতে প্রথম বলে দাবি

সারারাত ধরে অস্ত্রোপচার,  সফলভাবে সম্পন্ন হল বাংলা তথা পূর্ব ভারতের প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন। মুকুন্দপুরের মেডিকা সুপার স্পেশালিটি ফুসফুস প্রতিস্থাপনের এই অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বর্তমানে রোগী একমো সাপোর্টে রয়েছে।

সোমবার সারা রাত ধরে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চলে অপারেশন। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ হয়। এর পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া চালনো হচ্ছে। তা শেষ হতে কয়েক ঘণ্টা লাগবে বলেই খবর।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ নিজেই একটি ব্র্যান্ড, তাঁর আদর্শকে পাথেয় করেই চলতে চাই: সুকান্ত

প্রথমে সুরাটের আরাজন থেকে বিমানবন্দর- ২০ কিমি গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মাত্র ১০মিনিটে। তারপর সুরাট বিমাবন্দর থেকে ১৬২৫ কিমি মাত্র ১৯০ মিনিটে অতিক্রম করে কলকাতায় পৌঁছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্রতিস্থাপন পর্ব শেষ হয়। গ্রহীতা কলকাতারই বাসিন্দা ৪৬ বছর বয়সী এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি।  দাতা ৫২ বছর বয়সী মণীশ প্রবীণ চন্দ্র শাহ, সুরাতের বাসিন্দা। ১৯ সেপ্টেম্বর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন সুরাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বাড়ির লোকজন অঙ্গদানে সম্মত হয়। দুটি কিডনি এবং লিভার পায় আহমেদাবাদের সরকারি কিডনি ইনস্টিটিউট। ফুসফুস পায় কলকাতা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার মেডিকায় প্রায় ১০৩দিন ধরে একমো সাপোর্টে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা ওই রোগী। কোভিডে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিকিত্‍সকরা তা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সুরাট থেকে প্রতিস্থাপনের জন্য সংগৃহীত ফুসফুস কলকাতায় আনা হয়।

এর আগে কলকাতা থেকে শল্য চিকিৎসকদের দল যায় গুজরাতের সুরাটে। সেখানে ব্রেন ডেথ ব্যক্তির শরীর থেকে ফুসফুস সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। এরপর বিশেষ বিমানে করে ফুসফুস কলকাতায় পৌঁছয় রাতে। এরপর তা গ্রিন করিডর করে আনা হয় মেডিকায়। সোমবার রাত ১১টায় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার শুরু হয়।

advt 19

 

Previous articleদিলীপ ঘোষ নিজেই একটি ব্র্যান্ড, তাঁর আদর্শকে পাথেয় করেই চলতে চাই: সুকান্ত
Next articleসূচকাণ্ড : পুরুলিয়ায় শিশু খুনের ঘটনায় মা ও মায়ের প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত