মিলিয়ে দিলেন প্রেডিকশন! দিলীপ ঘোষদের ধুয়ে মমতার জয়গান বিজেপি নেতা জয়ের

কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে জিতবেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগেই তিনি আগাম ফলাফল ঘোষণা করেছিলেন। বুকে পাথর রেখে কিন্তু বাস্তবের মাটিতে পা রেখে বলেছিলেন, কমপক্ষে ৫০ হাজারের ভোটে জিতবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই ভবিষ্যতবানী এদিন কার্যত অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। তিনি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা। বিজেপি নেতা।

তাঁর সেই মন্তব্যের পর থেকে বহু কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে বিজেপি নেতা জয়ের দিকে। এবং বেশিরভাগটাই এসেছে গেরুয়া শিবির থেকে। এই যেমন রাজ্য বিজেপি পথ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরও দিলীপ ঘোষ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “ওসব জয়-বিজয়দের বিজেপিতে কোনও গুরুত্ব নেই। এরা ঘরে বসে বড় বড় কথা বলে”! আর রবিবার ফল ঘোষণার পর দিলীপ এন্ড কোং-কে কার্যত তুলোধনা করলেন জয়।

তাঁর কথায়, “আগেও বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া একজনকে ভবানীপুরে প্রার্থী না করে একজন ভদ্র, সভ্য কোনও বাঙালি অধ্যাপককে এখানে প্রার্থী করা উচিত ছিল বিজেপির”!

একইসঙ্গে নাম না করেও অর্জুন সিং ও শিশির বাজোরিয়াকে একহাত নেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “ভবানীপুরে বিজেপির পর্যবেক্ষক একজন ভদ্র, শিক্ষিত লোককে করা হলে এমন বিপর্যয় হত না। এখন তো বিজেপি কোর্টে আর কমিশনে ভোট লড়ে। ইলেকশন কমিশনের জন্য একজন অ্যাপয়েন্টেড লোক আছেন অবাঙালি। সাদা দাড়ি, সাদা গোঁফ, সাদা চুল। দেখলেই মনে হয় গায়ে টাকার গন্ধ। বাঙালিয়ানা কিছু জানেন বলে মনে হয় না। এখন তো দেখছি হেস্টিংস আর মুরলিধর সেন লেনে আমাদের দুটি পার্টি অফিসই ফাঁকা, কোথায় গেলেন সব?’‌’

বিজেপির নেতা হলেও ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ঝরে পড়ছে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তৃণমূল নেত্রীকে বিপুল জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে জয় বলেন, “মমতা ব্যানার্জির সংগ্রাম, লড়াই, আন্দোলনকে স্যালুট জানাই। এই বিরাট জয়ের পর শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানাই। তাঁর হাত ধরেই বাংলা এগিয়ে চলুক।”

আরও পড়ুন- ‘প্রত্যাশিত জয়’ মমতার; শুভেচ্ছাবার্তা রাজীবের

advt 19

 

Previous article‘প্রত্যাশিত জয়’ মমতার; শুভেচ্ছাবার্তা রাজীবের
Next article৫৮ হাজার বিভীষিকা! এই সংখ্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না প্রিয়াঙ্কার