“বিজেপি মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস, নতুন ভারত গড়তে নেতৃত্ব দিক বাংলা”: মমতা

দেশজুড়ে বিজেপিকে হারাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ কংগ্রেস৷ মোদি-অমিত শাহদের মোকাবিলায় রাহুল গান্ধীরা পেরে উঠছেন না। বাস্তবটা বুঝে জোটে আসুক কংগ্রেস। দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার পুজো সংখ্যার নিবন্ধে স্পষ্ট বিশ্লেষণ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, কংগ্রেসকে ছাড়া মহাজোটের কথা ভাবছে না তৃণমূল। তবে ব্যর্থতার সারসত্যটা মাথায় রেখেই জোটে আসতে হবে কংগ্রেসকে। “দিল্লির ডাক” শীর্ষক ওই নিবন্ধে মুখ্যমন্ত্রী অনেকটা অংশ জুড়ে কংগ্রেসের ব্যর্থতা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন৷

জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী লিখছেন, বিজেপি-কে যে হারানো সম্ভব বাংলার নির্বাচনেই তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে৷ ফলে নিজেদের অঙ্ক নয়, ফের একবার দেশের স্বার্থেই বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ”বাংলার নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা দেশের মানুষ৷ তাঁরা দেখেছেন কীভাবে ঝাঁপিয়েছিলেন গোটা দেশের বিজেপি নেতারা৷ এর পর তাঁরা বুঝতে পারছেন বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের মিলিত শক্তিকেও হারানো যায়৷ এই লড়াইয়ের মডেল বাংলা৷ আর এটা করতে পারে তৃণমূল৷”

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হটানোই মূল লক্ষ্য তৃণমূলের। তাই তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, ‘‘বিজেপি বিরোধী সব দলের উচিত একজোট হওয়া। নিজেদের অঙ্কে নয়, দেশের স্বার্থে একজোট হতে হবে। বিকল্প মঞ্চ শক্তিশালী করতে হবে। বিকল্প জোটের নেতৃত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা কখনওই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মঞ্চের কথা ভাবছি না, বলছি না। তৃণমূল বিজেপি বিরোধী সকলকে নিয়ে চলতে চায়। দেশের মানুষের দাবি দিল্লির মসনদ থেকে সরাতে হবে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরচারী বিজেপি-কে৷ মানুষের আশা ভরসা এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরে৷ বাংলার সাীমানা পেরিয়ে এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ডাক আসছে আপনারা আসুন৷ নতুন ভারত গড়তে নেতৃত্ব দিক বাংলা৷”

মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, একটা সময়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিল তৃণমূল৷ সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তুলনা টেনে তিনি লিখেছেন, ”সেই সিপিএম আজ ক্ষীণশক্তি, প্রাসঙ্গিকতা থেকে বহুদূরে৷ আর সময়ের সঙ্গে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আসল লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসই৷ গোটা দেশে এই সত্য প্রতিষ্ঠিত৷”

আরও পড়ুন:পুজো অ্যালবাম প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, নজরুল মঞ্চ যেন চাঁদের হাট!

advt 19

 

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleযুদ্ধ ভুলে হাসিমুখে বাবুল- কুণাল, কী কথা হল?