অবশেষে জেলমুক্তি তেলুগু দীপকের, মাওবাদী নেতার প্রশংসায় জেল সুপার

ষষ্ঠীতে জেলমুক্তি মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপকের। ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর, বেকসুর খালাস পেলেন মাওবাদী নেতা ভি ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি ওরফে তেলুগু দীপক।কিষেণজির ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত তেলেগু দীপকের বিরুদ্ধে নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আলিপুর আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, একাধিক অভিযোগ থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তেলেগু দীপকের বিরুদ্ধে এবার উচ্চ আদালতে যাবে রাজ্য, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:সশরীরে হাজিরা থেকে রেহাই, কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে স্বস্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট

এদিন জেলমুক্তির পর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, তাঁর দেখা অন্যতম ভদ্র ও শিক্ষিত এই তেলেগু দীপক। বন্দিদশায় একাধিকবার তেলেগু দীপকের সঙ্গে কথা হয়েছে দেবাশিসবাবুর। তাঁর কথায়, “একজন ভদ্র লোকের সঙ্গে আরেকজন ভদ্র লোকের যেমন আলাপ-চারিতা হয়, তেমনটাই কথা হতো তাঁদের দু-জনের মধ্যে। তিনি বেশিরভাগ সময় বই ও লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি সহ একদিকে ভাষা জলের মতো বলতে পারেন তিনি।” অন্যদিকে, তেলেগু দীপকও জেল সুপারের থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এক দশকের বেশি সময় ধরে মামলা চলছিল তেলেগু দীপকের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে বেহালার সরশুনা থেকে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করে CID. ২৪ জন EFR জওয়ানের হত্যা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে। UAPA, ভারতীয় দণ্ডবিধি ও অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।

তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নন্দীগ্রামের জেলিংহ্যাম থেকে উদ্ধার হয় AK-47। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ না মেলায় ১১ বছর পর মামলা চলার পর, আলিপুর আদালতে ফাস্ট ট্র্যাক তিন নম্বর কোর্টের বিচারক বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন তেলেগু দীপককে।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর, মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হন তেলেগু দীপক। জানা যায়, কিষেণজির সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসেন বাংলায়। মাওবাদীদের ট্রেনিং দেওয়া থেকে বিস্ফোরক বানাতে পারদর্শী ছিলেন বলেও তেলেগু দীপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

advt 19

 

 

 

Previous articleপুজোর থিকথিকে ভিড় চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের
Next article“নবান্ন থেকে পুজো মণ্ডপে দেবী দুর্গা”! ভবানীপুরে এবার থিম “খেলা হবে”