দশমীর সকাল থেকেই মন খারাপ বাংলার। চারদিনের পুজো (Pujo) শেষে আজ দেবীর কৈলাসে ফেরার পালা। সকাল থেকেই তিথি এবং পারিবারিক নিয়ম মেনে বিভিন্ন বনেদি বাড়িতে হয় দেবীবরণ- সিঁদুরখেলা। তারপর গঙ্গা-সহ বিভিন্ন নদীর ঘাটে বিসর্জন।

বিভিন্ন বনেদি বাড়ির বিভিন্ন রকম নিয়ম। যেমন, শোভাবাজার রাজবাড়িতে প্রতিমা বিসর্জনের আগেই নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি রয়েছে। সেই পাখিই নাকি কৈলাসে গিয়ে দেবীর আগমনের বার্তা শোনাবে মহাদেবকে। তবে নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন আর নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো যায় না। এখন সোলার প্রতীকী নীলকন্ঠ পাখি বেলুনে বেঁধে উড়িয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা।
জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে আবার বন্দুকের গুলি ছুড়ে উমা বিদায়ের ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: বিজয়ায় মিষ্টির জন্য দোকানে দোকানে লম্বা লাইন

কোচবিহারের দেবীবাড়ির পুজোয় রশিতে টেনে ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা। প্রথা মেনে মূল কাঠামো অক্ষত রেখে প্রতিমার দুটি হাত, পায়ের পাতা, অসুর, বাঘ, সিংহকে কেটে করে যমুনা দিঘির জলে বিসর্জন দেওয়া হয়।

শুক্রবার সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। করোনা আবহে রয়েছে নিয়মের কড়াকড়ি। মণ্ডপ থেকে সরাসরি প্রতিমা আনা হচ্ছে গঙ্গার ঘাটে। শোভাযাত্রার অনুমতি নেই। ঘট বিসর্জনের জন্য মাত্র ৩ জন গঙ্গায় নামতে পারছেন। নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
