Monday, August 25, 2025

অধরা শান্তনুর আক্রমণকারীরা: বিপ্লব দেবের পুলিশের হাস্যকর যুক্তি! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

Date:

পুজোয় পুলিশের কাজের চাপের জন্যই না কি ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূলের (Tmc) স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যের উপর আক্রমণের ঘটনা তদন্ত এগোয়নি! হাস্যকর যুক্তি বিপ্লব দেবের পুলিশের। দুর্গাপুজোর মধ্যেই দশমীর রাতে আক্রান্ত হন ত্রিপুরার তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহা (Shantanu Saha)। সেই ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের (Subal Bhoumik) নেতৃত্বে ইস্ট আগরতলা থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন – পিডিএসের শারদ সংখ্যায় প্রকাশিত কান্তি-তন্ময়ের লেখা, ক্ষুব্ধ সিপিএম

“এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-কে সুবল ভৌমিক জানান, এসডিপিও (Sdpo)-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে, পুজোর মধ্যে কাজের চাপ থাকায় এই বিষয়ে তদন্ত এগোনো যায়নি। ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার (Cc Camera) ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে পুলিশ। তা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তৃণমূল নেতা।

পুলিশের এই হাস্যকর যুক্তি তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা বলেন, উৎসবের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। সেক্ষেত্রে কোনও অপরাধমূলক কাজ হলে দোষীরা শাস্তি পাবে না পুলিশের কাজের চাপের জন্য? এই হাস্যকর যুক্তি কোনোভাবেই মানা যায় না।

এরপরেই বিপ্লব দেব (Biplab Dev) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন, “যে তিনি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশ তাঁর কথায় কাজ করে। রাজ্যের বিচারব্যবস্থা তাঁর কথায় চলে। সেখানে দুষ্কৃতীরাজ চলবে সেটাই স্বাভাবিক”।

এদিন ক্যাম্প অফিস থেকে ইস্ট আগরতলা থানা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। পা মেলান হাজারেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। সুবল ভূমিক ছাড়াও এদিন প্রতিবাদে সামিল হোন তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাস, তাপস রায়, ডা: দেবব্রত দেবরায়-সহ অনেকে। থানার সামনে বসে তাঁরা শান্তনু সাহার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান দেন।

সুবল ভৌমিক বলেন, উৎসবের মরসুমে তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান। সেই কারণেই পুলিশকে 72 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি দোষীরা গ্রেফতার না হয়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।

এখনও হাসপাতলে চিকিৎসাধীন শান্তনু সাহা। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক।

 

 

 

Related articles

নির্বাচনী মামলা! পাল্টা হলফনামা দিতে নিজেই হাই কোর্টে অভিষেক

নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

পথ দেখায় বাংলা: মমতার পথেই গণেশপুজোয় অনুদান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের!

বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবে কাল। এই স্বতঃসিদ্ধ বাক্যটি সম্প্রতি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার...

“যেকোনও পুরুষ আমার চেয়ে হেমাকে বেশি পছন্দ করত”, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মন্তব্য প্রকাশের

ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের (Prakash Kaur) বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। অভিনেতার বলিউডে অভিষেকের কয়েক...

নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে

নির্বাচন এগিয়ে এলেই বিজেপির তার তদন্তকারী সংস্থার অস্ত্রগুলোকে এগিয়ে দিতে থাকে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি বা সিবিআই আজ পর্যন্ত...
Exit mobile version