এবার পুজোর সময় দেশি এবং বিলিতি মদের ব্যবসার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ, যা রেকর্ড। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,সারা বছরে যেখানে রাজ্যে মদের বিক্রির অঙ্ক ৪৮ কোটি টাকা, পুজোয় সেই অঙ্ক ছুঁয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
এরই পাশাপাশি, হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসাতেও নতুন জোয়ার এসেছে। অন্য বছরের তুলনায় তাদের ব্যবসা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুজোর সময় রাজ্য সরকার বাড়তি সময়ের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ বার খুলে রাখার অনুমোদন দেওয়াতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছে তাদের ব্যবসা।

আরও পড়ুন- অবশেষে সাংসদ পদে ইস্তফা বাবুলের, ফের লড়বেন ভোটে? জল্পনা তুঙ্গে
আবগারি দফতরের রিপোর্ট বলছে, গতবারের থেকে এবছর পুজোতে দ্বিগুণেরও বেশি আয় হয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে নবমী। শুধু নবমীর দিনেই রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার।
কিন্তু এই মুনাফার নেপথ্যে কী আছে? আসলে চলতি বছরে পুজোর সবদিনই মদের দোকান খোলা ছিল। সুরা প্রেমীদের ব্ল্যাকে মদ কিনতে হয়নি। একেবারে এমআরপি ধরে মদ কিনেছেন তাঁরা। ফলে রাজ্য সরকারের মুনাফা মার যায়নি। সব মিলিয়ে পুজোয় মদ বিক্রি করেই ১০০ কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকেছে। এই পরিমান মদ বিক্রিকে ‘রেকর্ড বিক্রি’ বলছে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট।
রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই ২৭ কোটি ২১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৪৯ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে দুর্গাপুজোর ৫ দিনে!
