কালীর বুকে পা তুলে দিয়ে পুজো করেন কালীশঙ্কর

শক্তির আরাধনায় কালী পুজো করার রীতি প্রাচীন কাল থেকেই। কালী নিয়ে অনেক গল্প গাঁথা আছে, পুজোও হয় নানা ভাবে। তবে প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে পুজো করেন হুগলির কালীশঙ্কর সাঁতরা। তিনি কালীর বুকে পা তুলে দিয়ে পুজো করতে অভ্যস্ত। ভাঙা কাঁচের উপর নৃত্য করে মায়ের আরাধনা করেন তিনি। আরামবাগে এই পুজো দেখতে ভিড় জমান লক্ষাধিক ভক্ত।

হুগলির আরামবাগের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা কালীশঙ্কর অব্রাহ্মণ বাগদী। তাঁর পুজো করার পদ্ধতিও অভিনব। হুগলির আরামবাগের রতনপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে বড় মা’র পুজো। গ্রামে স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরেই থাকেন কালীশঙ্কর। মা কালীর সামনে কাঁচ ভেঙে সেই কাঁচের টুকরোর উপর নৃত্য করার পর মা কালির বুকে পা তুলে মায়ের আরাধনা শুরু করেন। কাচের টুকরোর ওপর দাঁড়িয়ে তিনি নাচতে নাচতে পুজো শুরু করেন। কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজে মন্দির চত্বর পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তবে পুজোর সময় তিনি শাস্ত্রীয় মন্ত্র পাঠ করেন না। নিজের বাঁধা গান, নিজের সুরে গেয়ে দেবীর পুজো করেন। অসংখ্য ভক্ত তা দেখতে মন্দির প্রাঙ্গনে ভিড় জমান। এই ভাবেই মা পুজো গ্রহন করেন বলে জানান কালীশঙ্কর। কেন তিনি এভাবে পুজো করেন? তার উত্তরে কালীশঙ্কর বলেন, ছোটোবেলায় কালীশঙ্কর ঠাকুর গড়তেন। সেই ঠাকুর তাঁর তুলনায় অনেক বড় হয়ে যেত বলে ঠাকুরের বুকের উপর পা দিয়ে উঠে ঠাকুর গড়া শেষ করতেন। নিজে পুজোও করতেন। এনিয়ে তাঁর পরিবার তাঁকে কথা শোনাতো, বারণ করত। কিন্তু কালীশঙ্কর তা শুনতেন না। তাঁর মতে, কালী ঠাকুর তাঁকে টানত, সেই টানেই এখনও পুজো করে চলেছেন তিনি।

 

Previous articleউপেক্ষিত তিনকন্যা
Next articleভাইফোঁটার সকালে দুর্ঘটনা, মৃত্যু স্কুটার আরোহীর