Monday, May 12, 2025

শক্তির আরাধনায় কালী পুজো করার রীতি প্রাচীন কাল থেকেই। কালী নিয়ে অনেক গল্প গাঁথা আছে, পুজোও হয় নানা ভাবে। তবে প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে পুজো করেন হুগলির কালীশঙ্কর সাঁতরা। তিনি কালীর বুকে পা তুলে দিয়ে পুজো করতে অভ্যস্ত। ভাঙা কাঁচের উপর নৃত্য করে মায়ের আরাধনা করেন তিনি। আরামবাগে এই পুজো দেখতে ভিড় জমান লক্ষাধিক ভক্ত।

হুগলির আরামবাগের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা কালীশঙ্কর অব্রাহ্মণ বাগদী। তাঁর পুজো করার পদ্ধতিও অভিনব। হুগলির আরামবাগের রতনপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে বড় মা’র পুজো। গ্রামে স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরেই থাকেন কালীশঙ্কর। মা কালীর সামনে কাঁচ ভেঙে সেই কাঁচের টুকরোর উপর নৃত্য করার পর মা কালির বুকে পা তুলে মায়ের আরাধনা শুরু করেন। কাচের টুকরোর ওপর দাঁড়িয়ে তিনি নাচতে নাচতে পুজো শুরু করেন। কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজে মন্দির চত্বর পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তবে পুজোর সময় তিনি শাস্ত্রীয় মন্ত্র পাঠ করেন না। নিজের বাঁধা গান, নিজের সুরে গেয়ে দেবীর পুজো করেন। অসংখ্য ভক্ত তা দেখতে মন্দির প্রাঙ্গনে ভিড় জমান। এই ভাবেই মা পুজো গ্রহন করেন বলে জানান কালীশঙ্কর। কেন তিনি এভাবে পুজো করেন? তার উত্তরে কালীশঙ্কর বলেন, ছোটোবেলায় কালীশঙ্কর ঠাকুর গড়তেন। সেই ঠাকুর তাঁর তুলনায় অনেক বড় হয়ে যেত বলে ঠাকুরের বুকের উপর পা দিয়ে উঠে ঠাকুর গড়া শেষ করতেন। নিজে পুজোও করতেন। এনিয়ে তাঁর পরিবার তাঁকে কথা শোনাতো, বারণ করত। কিন্তু কালীশঙ্কর তা শুনতেন না। তাঁর মতে, কালী ঠাকুর তাঁকে টানত, সেই টানেই এখনও পুজো করে চলেছেন তিনি।

 

Related articles

১২টায় ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠক, ভারতের দাবি নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী!

ভারত-পাক ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকের আগেই তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হট লাইনে (hot...

তীব্বতে অনুভূত ভূমিকম্প, জরুরি বাহিনী তলব চিনের

ফের একবার কেঁপে উঠল হিমালয় সংলগ্ন এলাকা। গত কয়েকদিন হিমালয়ের দক্ষিণে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রার প্রবল পরিবর্তন হয়েছে।...

অলচিকি লিপির উদ্ভাবকের প্রতি শ্রদ্ধা, অবদানের স্বীকৃতি মুখ্যমন্ত্রীর

পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু একজন ভাষাতত্ত্ববিদ, লেখক, নাট্যকার ও সাঁওতালি ভাষায় ব্যবহৃত 'অলচিকি' লিপির (Alchiki script) উদ্ভাবক। তাঁর জন্মদিবসে...

রাজ্যে রক্ষিত বৌদ্ধ ঐতিহ্য, বুদ্ধপূর্ণিমায় শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

সর্বধর্মকে সমানভাবে স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষা করাই বাংলার ঐতিহ্য। যুগে যুগে যেভাবে বাংলার সম্প্রীতির পরিবেশকে আপন করে...
Exit mobile version