ব্যাপক সন্ত্রাসের পরও ত্রিপুরায় ৫১ আসনেই লড়ছে তৃণমূল, মনোনয়ন প্রত্যাহার বাম-কংগ্রেসের

হুমকি, হামলা, অপহরণ, রাতের অন্ধকারে বাড়ি এসে ধমকানি-চমকানি, এত কিছুর পরেও ত্রিপুরা পুরভোটের আগে বিজেপির(BJP) সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল। লড়াইের ময়দান ছেড়ে সরলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা(TMC candidate)। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও দেখা গেল ৫১ আসনে মনোনয়ন বহাল রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীদের। প্রত্যাহার করেননি কেউই।যদিও সন্ত্রাসের চোখ-রাঙানিতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা।

সোমবার ছিল ত্রিপুরায়(Tripura) পুরভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দিনের শেষে দেখা গেল আগরতলা পুর নিগমের যে ৫১টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি আগরতলা-সহ নগর পঞ্চায়েত ও পুর পরিষদ এলাকায় দিনে রাতে টানা সন্ত্রাস চালিয়েছে। প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ করেছে। প্রার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও পিছু হটেননি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। সোমবারও আগরতলায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য স্বপ্না মল্লিকের বাড়িতে হামলা করে বিজেপি গুণ্ডারা। ব্যাপক হামলা চালানো হয় স্বপ্নার বাড়িতে। গোটা বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

আরও পড়ুন:অনেক কিছু শেখার ছিল সুব্রতর থেকে: বিধানসভায় শোক প্রস্তাবে মন্তব্য স্পিকারের 

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে গত কয়েক মাসে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, মামলা, গাড়ি ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ দেয়নি বিজেপির গুণ্ডারা। এতকিছু করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে টলানো যায়নি। প্রতিদিনই বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ছেড়ে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। ত্রিপুরা রাজ্যের তৃণমূল যে শক্ত চ্যালেঞ্জ তা বুঝতে পেরে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় বিজেপি। যদিও তাতে অবশ্য পিছু হটেনি ঘাসফুল শিবির।

এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরায় দলের স্টিয়ারিং কমিটিক আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানান, গত কয়েক দিন ধরে বিজেপি লাগামহীন সন্ত্রাস চালানোর পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রার্থীও লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ায়নি। কিন্তু সিপিএমের পাঁচজন, কংগ্রেসের একজন ও একজন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বিজেপি সবরকমভাবে চেষ্টা করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে পারেনি। এটা আমাদের নৈতিক জয়।

Previous articleঅনেক কিছু শেখার ছিল সুব্রতর থেকে: বিধানসভায় শোক প্রস্তাবে মন্তব্য স্পিকারের 
Next articleআগামী বছর ফের রাজ্যে “বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন”