সুব্রতদার সিটটা ফাঁকা, ভাবা যায় না: বিধানসভায় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 

বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রস্তাব আনা হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় কাজের স্মৃতিরোমন্থন করেন মন্ত্রী-বিধায়করা। ছাত্র আন্দোলন থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বলতে উঠে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “সুব্রতদাকে নিয়ে আজকে কিছু বলতে হবে ভাবিনি”। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কথায় সুব্রতর সিট ফাঁকা ভাবা যায় না।

ভালো ছাত্র ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তিনি জানান, “কোনওদিন ভাবিনি রাজনীতি করব। নাকতলায় পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছি। শোভনদেবদা টাক্সি থেকে নেমে এসে বলল ছাত্র পরিষদ করবি। আমার দুটো জিনিস চোখের সামনে ভাসে প্রিয়দা, সুব্রতদা দু’জনে বসুশ্রী সিনেমায় আসতেন আড্ডা দিতে মন্টু দার ওখানে। বসন্ত কেবিন থেকে খাবার আসত। আন্দোলন করতে গিয়ে মারও খেয়েছি। কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখানেও গন্ডোগোল। মানস ভুঁইয়ার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুব্রতদা আমায় নিয়ে গিয়েছিল।”

শুধু সুব্রত মুখোপাধ্যায় নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিতে উঠে এলো প্রিয়-সুব্রত জুটির কথাও। “প্রিয়দা-সুব্রতদা কখন যে কী করবে কেউ জানত না। কত কথা মনে পড়ছে। জীবনের প্রতিপদক্ষেপে ছাত্র আন্দোলনে সুব্রত দার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম। যা বলত তাই শুনতাম। অনেক কথা হয়ত সুব্রতদাকে বলতে পারিনি। বৌদিকে বলেছি। এমন বৌদি পাওয়া দুষ্কর।”

সুব্রত শুধু পার্থর রাজনীতির গুরু ছিলেন না। ছিলেন বাড়ির বড়দা। তাঁর মা মারা গেলে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন সুব্রত। “মা মারা গেল। বাড়িতে এলো। কতসময় বসে থাকল। তখনও কী জানি চার মাসের মধ্যে তুমিও চলে যাবে। আমার মার সঙ্গে বৌদির খুব ভাব ছিল। সুব্রতদা সে সময় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর বহু নকশালের জেল মুক্তি ঘটিয়েছে। আমায় বলত মমতা গরীবের মেয়ে ওকে উঠতে দে। সংগ্রামী নেতা না থাকলে সংগ্রামী নেত্রী তৈরি হয় না। সংগ্রাম তৈরি হয় না। আন্দোলন তৈরি হয় না। বৌদি ভালো থাকো।”

 

 

Previous articleভারতের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ কেনার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হরভজন, তীব্র নিন্দা ভাজ্জির
Next article‘এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি’ ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বনমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইলেন টুকটুকি