Thursday, August 28, 2025

ত্রিপুরায় লাগাতার সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কমিশনে ধর্না, সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক

Date:

২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। ২৩ তারিখ শেষ হচ্ছে প্রচার। তার আগে পুরভোটের প্রচারে ২২ নভেম্বর ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল(TMC) কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। পাশাপাশি ২০ নভেম্বর যাবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায়(Tripura) লাগামহীন সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি(BJP)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্বেও ত্রিপুরার পুলিশ প্রশাসন তা বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপির ভয়াবহ সন্ত্রাসকে মদত দিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থীরা যাতে প্রচার করতে না পারেন তার সবরকম ব্যবস্থা করেছে। এই আবহেই পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় পা রাখছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

শুক্রবার সকাল থেকে ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের সামনে মিছিল করে এসে ধর্না দেন তৃণমূলের নেতা -কর্মী -সমর্থকরা। দাবি তোলা হয় ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচন করতে হলে সু্প্রিম কোর্ট কিংবা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে এই অজার্ভার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে তার পর্যবেক্ষণে পুরভোট করতে হবে। সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন না করালে মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। এই নির্বাচন প্রহসনে পরিনত হবে।

এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুবল ভৌমিক বলেন, বিজেপির উদ্দেশ্য যেভাবেই হোক ভোট লুঠ করা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রচার করতে না দেওয়া। বিজেপি বুঝে গেছে ত্রিপুরায় ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। ওরা আর জিততে পারবে না। তাই এই ভয়াবহ সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশন চুপ করে আছে। অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই।

শুক্রবার এই অবস্থান ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানান, যে ভাবে বিজেপি এখানে নির্বাচন করতে চাইছে তা মানা যায় না। বিজেপি যদি মনে করে এভাবে ক্ষমতা ধরে রাখবে তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করব না কিন্তু এই ধরণের ভুল পদক্ষেপই বিজেপিকে আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে।

সুবল ভৌমিক, সাংসদ সুস্মিতা দেব, বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও এদিন নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্ণায় ছিলেন নারায়ণ গোস্বামী, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ দলের সবস্তরের নেতা – কর্মীরা সকলেই এক সুরে এদিন দাবী তুলেছেন ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু ত্রিপুরার প্রশাসন ও এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন- Jagdeep Dhankar: BSF নিয়ে পাস হওয়া প্রস্তাব তলব করে টুইট রাজ্যপালের, পাল্টা কটাক্ষ পার্থর

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version