Friday, May 16, 2025

(এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিতে হবে। সব রাজ্যকে এগোতে হবে, না হলে দেশ এগোবে না। মন্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর)

 

মণীশ কীর্তনিয়া, নয়াদিল্লি

 

গোবলয় থেকে বিজেপিকে উৎখাত করাই যে লক্ষ্য দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন দ্রুত যেতে চান হরিয়ানা-পঞ্জাবে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিলই, তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) উপস্থিতিতে দিল্লিতে বড় চমক দেখা যাবে। আর ঠিক সেই জল্পনা সত্যি করে মঙ্গলবার দুপুর থেকে একে একে প্রাক্তন বিজেপি, জেডিইউ, কংগ্রেস সাংসদ যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। “বিজেপিকে হটানোই লক্ষ্য। কাজ শুরু করে দিতে হবে এই মুহূর্ত থেকেই”- যোগদানের পর অশোক তানোয়ারের সঙ্গে আসা অনুগামীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন, তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন JDU সাংসদ পবন ভার্মা (Pavan Varma), প্রাক্তন BJP সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) ও তাঁর স্ত্রী পুনম আজাদ, প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অশোক তানোয়ার (Ashok Tanwar)। এদিন, মমতার সঙ্গে দেখা করেন জাভেদ আখতার এবং সুধীন কুলকার্নি।

অশোক তানোয়ারের অনুরোধে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “অশোকজির সঙ্গে যাঁরা এসেছেন সকলকে স্বাগত। ওর বাবা দেশের জন্য লড়াই করেছেন। আজ থেকে ওর পরিবার তৃণমূল পরিবারে এলেন। আপনারা এখন থেকেই কাজ শুরু করুন। অশোকজি গোয়া যাবেন। কলকতায় বৈঠক করবেন।”

এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “বিজেপিকে হারানোর জন্য এটা বড় সিদ্ধান্ত। সকলকে ধন্যবাদ। ভালো করে কাজ করুন। আমি হরিয়ানা-পঞ্জাব যাব, আপনারা প্রস্তুতি নিন। পুরো হরিয়ানা জুড়ে আপনারা কাজ শুরু করে দিন।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “সব রাজ্যকে এগোতে হবে, তা না হলে দেশ এগোবে না।”

কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনের জেরে হরিয়ানায় বিজেপির পায়ের তলার মাটি নড়বড়ে।বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে সেই সমস্যা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এখনো আন্দোলন থেকে সরে আসেনি কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর টার্গেট মিশন হরিয়ানা।

তৃণমূলে যোগ দিয়ে পবন ভার্মা বলেন, “২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে দেখতে চাই। এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে শক্তিশালী বিরোধী মুখ হলেন তৃণমূল নেত্রী”। কীর্তি আজাদ বলেন, “যতদিন রাজনীতি করব দিদির সঙ্গে থাকব। দিদি জমিতে নেমে মানুষের জন্য লড়াই করছেন। দিদির মতো নেত্রী আজ দেশের দরকার। দেশে এখন বিভাজনের রাজনীতি চলছে যা দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের একতা বজায় রাখার জন্য দিদিকে দরকার।”

চার দিনের সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। বুধবার, তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা।

 

 

Related articles

জেলা সভাপতির বদলে কোর কমিটি ২ জেলার, দুই জেলায় সভাপতি ঘোষণা স্থগিত

দলীয় স্বার্থে সাংগঠনিক জেলার গঠন প্রণালী কেমন হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৃণমূলের সদ্য প্রকাশিত নেতৃত্বের তালিকায়। জেলা...

গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি-দূষণ পরীক্ষায় রাজ্যে হচ্ছে ১২টি আধুনিক ATS

গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি ও দূষণ নিয়ে প্রশ্নের সমাধানে রাজ্যে গড়ে উঠছে ১২টি আধুনিক অটোমেটেড টেস্টিং স্টেশন (ATS)। পরিবহন...

পরিচয় জানলে ব্যোমিকাকেও ছাড়তেন না! বিজেপির জাতিবিদ্বেষের পর্দাফাঁস সপা নেতার

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ কর্ণেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। তবে...

টুটু বোসের ইস্তফা নিয়ে শুক্রবারও সিদ্ধান্ত হল না

শুক্রবারের কার্যকরী সমিতির বৈঠকেও টুটু বোসের(Tutu Bose) ইস্তফা গ্রহন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল না। এর আগে একটা...
Exit mobile version