Thursday, August 28, 2025

Tripura Murder: পুলিশ অফিসার সহ প্রকাশ্যে ৬ জনকে খুন, ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ

Date:

ফের নৃশংসতার নির্দশন তৈরি করল বিজেপি (BJP) শাসিত ত্রিপুরা (Tripura)। ধারাল অস্ত্র দিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে নিজের দুই শিশুকন্যা-সহ মোট ৬ জনকে খুন করলেন এক ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে একজন ত্রিপুরার খোয়াই থানার (Khoyai PS) সাব ইনস্পেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক। ঘটনাটি ঘটেছে খোয়াই মহকুমার রামচন্দ্রঘাট এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন। যদিও তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তদন্তে নেমেছে খোয়াই থানার পুলিশ।

স্থানীয় SDPO জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রদীপ দেবরায়। শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে বাড়িতে স্ত্রী-র চোখের সামনেই নিজের দুই শিশু সন্তানকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে প্রদীপ। এরপর স্ত্রী-কে খুন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। তখন কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন অভিযুক্তের স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়। গুরুতরভাবে মীনা জখম হয়ে স্থানীয় জিবি হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন।

এখানেই শেষ নয়। ঘটনার রাতেই রাস্তায় বেড়িয়ে আচমকা এক অটোচালক এবং তাঁর ছেলের উপর চড়াও হয় আততায়ী প্রদীপ। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই অটোচালক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর একের পর এক ব্যক্তির উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ চালাতে থাকেন প্রদীপ। আহতদের গুরুতর অবস্থায় জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান খোয়াই থানার সাব ইনস্পেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ঠেকাতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হয় প্রদীপ। মৃত্যু হয় পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ মল্লিকের। অভিযুক্ত তাঁকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা সত্যজিৎবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শেষমেশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকর্মীরা অভিযুক্তকে বন্দি করে। আপাতত, জিবি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

আরও পড়ুন:NorthBengal: বাপের বাড়ির অভিযোগ, কবর খুঁড়ে তোলা হল অন্তঃসত্ত্বা বধূর দেহ

প্রকাশ্যে সাত-সাতজনের খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক সরাসরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দিকে আঙুল তুলেছেন। শাসক দল, বিজেপিকেই দায়ি করেছেন। তিনি বলেন, “বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে যে যাকে খুশি আক্রমণ করছে। এটা ত্রিপুরার সংস্কৃতি নয়। কাজ নেই, খাদ্য নেই। রাজ্য সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে হতাশা চলে এসেছে। সাধারণ মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারে না। তাই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আর বিজেপি সরকার মত্ত হাতির মতো তাণ্ডব করছে।”

Related articles

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...

হাসিনার প্রত্যাবর্তনে ভয় পাচ্ছে বিএনপি! নির্বাচন ভণ্ডুলের আশঙ্কা খালেদা জিয়ার দলের

বাংলাদেশ(Bangladesh) জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। চাপের মুখে পড়ে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে...

রেস্তোরাঁয় বিল মেটাতে না পেরে বাসন ধুয়েছিলেন! ঘরভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতেন আশিস

বলিউড (Bollywood) অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও আর্থিক সমস্যার...
Exit mobile version