Sunday, November 9, 2025

Fake Rupees: পাকিস্তানে তৈরি, বাংলাদেশ হয়ে ভারতে যায় জাল টাকা

Date:

খায়রুল আলম, ঢাকা: ভারতের(India) জাল জাল টাকা তৈরি হয় পাকিস্তানে(Pakistan), আর তা বাংলাদেশের(Bangladesh) মধ্য দিয়ে পৌছয় ভারতে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্রের হাত ধরে এই টাকা পাচারের(Fake rupees) রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তান থেকে মার্বেল পাথরের কনটেইনারে করে চট্টগ্রামে আসে জাল টাকা। এরপর ঢাকায় এনে মজুদ করা হয়।তারপর সুবিধামতো সময়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার করা হতো ভারতে।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল টাকা সহ জালিয়াত চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গুলশান বিভাগ। গ্রেফতার হয়েছেন ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

আরও পড়ুন:Nandigram Bandh: সরকারি আধিকারিক নিগ্রহে রাস্তা আটকে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবি বিজেপির

তিনি বলেন, খিলক্ষেতের বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে একজন মহিলা ভারতীয় জাল টাকা সহ রয়েছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পণ্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ডেমরার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াত চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ কর্তা আসাদ আরো জানান , গ্রেফতার ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন।

গত ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার আবু তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করেন। তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত মার্বেল পাথরের ৫০০টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতায় চিহ্নিত ৯৫টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে চক্রটি এই কারবারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন,
পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির কাছ থেকে এসব জাল মুদ্রা সংগ্রহ করতেন।

ফাতেমা ও তালেব এসব জাল টাকা ঢাকার বাড়িতে জলের ট্যাংকির নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখতেন। পরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সুযোগ সুবিধামতো ভারতে পাচার করে দিতেন।পুলিশ কর্তা জানান, ফাতেমা আক্তার অপির স্বামী দানেশ পাকিস্তানি নাগরিক। স্বামীর সুবাদে বহুবার পাকিস্তানি গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওই মহিলা।

 

Related articles

জাত-পাতের ভাগ করে রাজনীতিকরা! জাতিভেদ তুলে দিতে সরব মোহন ভাগবত

ভারতে রাজনৈতিক কারণে জাত-পাত নিয়ম বর্তমান। এবার সরব আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আদতে দেশের রাজনীতিতে মানুষের সমান অধিকার...

বালিচকের প্লাটফর্মে ধাক্কা মালগাড়ির, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

রবিবার সকালে খড়্গপুর ডিভিশনে রেল দুর্ঘটনা। নটা নাগাদ বালিচক স্টেশনে বিকট আওয়াজে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ধাক্কা মারে প্ল্যাটফর্মে।...

তারকেশ্বরে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার দাদু!

চার বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মশারি কেটে বের করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন। তারকেশ্বর স্টেশন (Tarkeswar Station) সংলগ্ন ড্রেন...

রবিবাসরীয় সকালে চাঁদনী চকের CESC অফিসের ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ!

সাতসকালে মহানগরীতে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire incident in Kolkata)। সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ চাঁদনী চকের CESC অফিসের একটি...
Exit mobile version