সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই ধ্বনিভোটে পাশ হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। তার আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। কৃষকদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেটানোর দাবিতে সংসদের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সাংসদের সঙ্গে ধর্নায় বসেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। কৃষকদের সমর্থনে আর্জি জানিয়ে টুইট করেন রাহুল গান্ধী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘আজ যেন অন্নদাতাদের নামে সংসদে সূর্যোদয় হয়’।

आज संसद में अन्नदाता के नाम का सूरज उगाना है।#MSP #FarmLaws
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 29, 2021
আরও পড়ুন:Parlament: আলোচনা ছাড়াই পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা তৃণমূলের

এদিন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সরকার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। আলোচনা হোক কিন্তু শান্তি যেন বজায় থাকে। কিন্তু কোনও আলোচন ছাড়াই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, (Farm Laws Repealed) ২০২১’ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর( Narendra Singh Tomar) । ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দেয় সরকার পক্ষ। কেবলমাত্র ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল’। শুধু আইন প্রত্যাহার (farm laws repeal) নয়, কৃষি উৎপাদনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum support price) নিয়ে আইন আনার ব্যাপারে চাপ দিয়েছে বিরোধীরা ৷
এদিকে, অধিবেশন শুরুর আগে এদিন কংগ্রেস-সহ মোট ১১টি বিরোধী দল সকালে একসঙ্গে বৈঠক করে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, ডিএমকে’র সাংসদরা। বিরোধীদের দাবি ছিল আইন প্রত্যাহার করার আগে আলোচনার সময় বরাদ্দ হোক।৷ কংগ্রেসের এই বিক্ষোভে রাজ্যসভার নেতা রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী সামিল হন ৷ অধিবেশনে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ করা উচিত নয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিল পাশ করা হোক”।
অন্যদিকে, সরকারের বক্তব্য, কৃষি আইন নিয়ে আগেই ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আইন প্রত্যাহারের(Farm Laws Repealed) সম্মতিও দিয়েছে। তাই আলোচনার প্রয়োজন নেই। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল সংসদে যে কোনও বিল পেশ হলে তা আলোচনার পরেই পাশ করার নিয়ম।