Sunday, August 24, 2025

আসন্ন কলকাতা পুররসভা নির্বাচনে (KMC Election) বেহালা পূর্বের ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী হয়েছেন ক্রিস্টিনা বিশ্বাস। খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে যে দু’জনকে এবার পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে করেছে, তার মধ্যে ক্রিস্টিনা একজন। ভোটের ময়দানে নবাগত হলেও ক্রিস্টিনার রাজনৈতিক পরিবার থেকেই বড় হয়ে ওঠা। বিয়ের পরও রাজনৈতিক পরিসরেই সংসার জীবন তাঁর।

শুধু রাজনীতি নয়, সারাবছর ক্লাব সংগঠন ও সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন ক্রিস্টিনা। মানুষের আপদে-বিপদে ছুটে যাওয়া কিংবা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার জন্য ক্রিস্টিনা এলাকায় জনপ্রিয় মুখ। পাড়ার সকলের প্রিয় বৌমা। তাঁর সেই স্বচ্ছভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতেই এবার মহিলা সংরক্ষিত ১৪৩ নম্বরে ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে ক্রিস্টিনাকে।

গতবারের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য গত বছর প্রয়াত হন। একদিকে কাউন্সিলর-এর মৃত্যুতে এলাকাবাসী যেমন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলেন, ঠিক একইভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকে এলাকার মানুষকে ছেড়ে উধাও হয়ে যান প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে একদিকে করোনা মহামারী, অন্যদিকে আমফানের দাপটে বিপর্যস্ত ওয়ার্ডবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। সংসার সামলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সমান তালে মানুষের সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তানের মা ক্রিস্টিনা।

অভিভাবকহীন ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত রাজ্য সরকারের সমস্ত সামাজিক প্রকল্প সহকর্মীদের সঙ্গে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ক্রিস্টিনা। এই ওয়ার্ডে প্রায় ৯০% মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এর সুবিধা পেয়েছেন ৬ হাজার মানুষ ও তাঁদের পরিবার। লক্ষীর ভান্ডার পেয়েছেন ওয়ার্ডে ৪ হাজার মহিলা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পর সুবিধা পেয়েছেন এলাকার ছেলেমেয়েরা।

এছাড়া সারা বছর ধরে রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজ অরাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে করে গিয়েছেন ক্রিস্টিনা বিশ্বাস। দুর্গাপূজা হোক ঈদ কিংবা বড়দিন, উৎসবের দিনগুলিতেও মানুষ পাশে পেয়েছেন ক্রিস্টিনাকে।

তৃণমূল প্রার্থী জানালেন, মানুষের আশীর্বাদে তিনি নির্বাচিত হলে আগামী দিনে প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্যের অসম্পূর্ণ কাজগুলি তিনি সর্বাগ্রে সম্পন্ন করবেন। আরও বেশি বেশি করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প। কাউন্সিলরের কাছের মানুষকে আসতে হবে না। কাউন্সিলর ছুটে যাবেন মানুষের দুয়ারে। তিনি নির্বাচিত হলে রং বিচার না করে দলমত নির্বিশেষে মানুষের পরিষেবা দেওয়াই হবে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

আরও পড়ুন:তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে অভিষেক, শতাব্দীতে মালদহের পথে মমতা

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version