প্রকাশ্যে নমাজ নয়! গেরুয়া রাজ্য হরিয়ানায় ‘একুশে আইন’ খট্টরের

প্রকাশ্যে নামাজপাঠ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, হুঁশিয়ারি খট্টরের

প্রকাশ্য রাস্তায় নমাজ পাঠের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে গুরগাঁওয়ে(Gurgaon)। প্রকাশ্য নমাজপাঠে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দাবি করে রীতিমতো সরব হয়ে উঠেছে সেখানকার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। এবার তাদের সুরে সুর মিলিয়ে সরব হতে দেখা গেল হরিয়ানার(Hariyana) মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে(Manohar Lal Khattar)। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন প্রকাশ্যে নমাজপাঠ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

এই ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “গুরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে নমাজপাঠ বরদাস্ত করা হবে না। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে একটা সুষ্ঠু সমাধান করব। প্রার্থনার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু অন্য কারও অধিকার হরণ করে নয়।” পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নামাজ পাঠের অনুমতি প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। সে প্রসঙ্গে খট্টর বলেন, “পুলিস ও ডেপুটি কমিশনারকে বিবাদের মীমাংসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নমাজ পড়তে চাইলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রার্থনার জন্য ধর্মীয়স্থান রয়েছে। সেখানে গিয়ে মানুষ প্রার্থনা করতে পারেন। কিন্তু খোলা জায়গায় এসব করা যাবে না।”

আরও পড়ুন:Shootout Followup: পুলিশ হেফাজতে রিজেন্ট পার্ক গুলিকাণ্ডে ধৃতরা

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে রাস্তায় নমাজ পাঠের ঘটনার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। নমাজস্থলে গিয়ে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘জয় শ্রী রাম’। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে গুরগাঁওয়ে মুসলিমদের নমাজের জন্য ৩৭টি জায়গা চিহ্নিত করে দেয় প্রশাসন। কয়েক মাস আগে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে। কমবেশি সবক’টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদীরা। তার জেরে অনুমোদন সাময়িক প্রত্যাহার করে প্রশাসন।

Previous articleTraffic Awareness: কেন হচ্ছে দুর্ঘটনা? কারণ বিশ্লেষণ করে পথচারীদের সতর্ক করল তিলজলা ট্রাফিক গার্ড
Next articleBengal: বিজয় হাজারের ট্রফিতে আবারও হার বাংলার, তামিলনাড়ুর কাছে ১৪৬ রানের হারল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দল