কলকাতা পুরভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।এরই মাঝে হুগলির সিঙ্গুরে ধরনা কর্মসূচি করছে বিজেপি। সেখান থেকে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই বিষয়ে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের খোঁচা, তথাগত রায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়রা বিজেপি-র অন্দরে নারী ও অর্থের খেলা চলে বলে যে অভিযোগ করেছেন আগে সেই কামিনীকাঞ্চনের জবাব দিন ‘পেগাসাস অধিকারী’।এর জবাব দিতে হবে সুকান্ত, দিলীপকেও।
কুণালের কটাক্ষ, পুরভোটেও গো-হারা হারবে বিজেপি। তাই নজর ঘোরাতেই ভরা ভোটের বাজারে সিঙ্গুরে গিয়ে ধরনার নামে নাটক শুরু করেছে। যে প্রধানমন্ত্রীকে কৃষকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হয়, সেই দলের মুখে আর যাই হোক কৃষকের কথা মানায় না। কৃষকদের অধিকার কী ভাবে সুনিশ্চিত করতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন।আসলে মমতা শিল্পের বিরোধী নন, জোর করে কৃষিজমি কেড়ে নেওয়ার বিরোধী।
তৃণমূল মুখপাত্রর প্রশ্ন, মমতার কৃষক-নীতি যদি ভ্রান্ত হয়, তা হলে তার উপর ভর করে শুভেন্দু নিজের এবং তাঁর বাবার রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরি করলেন কেন? এত দিন পর বিবেক জাগল? শুভেন্দু অধিকারী আজ বলছেন, মমতার পথ ভুল। তা হলে ২০০৫ সাল থেকে কেন মমতার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলানোর জন্য এত পীড়াপীড়ি করতেন? যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষক আন্দোলনে ভর করে শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী নিজেদের রাজনৈতিক ভীত পোক্ত করেছেন, আজ তাঁরাই বলছেন মমতার পথ ভুল!
তাঁর প্রশ্ন, যদি এত দিন আগে থেকেই ভুল ধরে ফেলেন, তাহলে মমতার দয়ায় তৃণমূল কর্মীদের আবেগকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরি করেছিলেন কেন?
