মাত্র দু-তিন মাস হল গোয়ায় (Goa) পা রেখেই যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে তৃণমূল (Tmc)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বর্তমান বিধায়ক, তারকা ক্রীড়াবিদ, অভিনেত্রী- এককথায় সমাজের সব স্তরের মানুষ যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। আর এতে আশঙ্কিত আম আদমি পার্টি। অন্তত তাদের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arbind Kejriwal) মন্তব্য তাই প্রমাণ করছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল সবে তিনমাস আগে গোয়াতে পা রেখেছে। গণতন্ত্রে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। আপনাদের চোখে তৃণমূলের (Tmc) স্থান অনেক উপরে হতে পারে, কিন্তু আমার মতে, তৃণমূল গোয়াতে প্রতিযোগিতায় নেই।” অর্থাৎ পরোক্ষে কেজরিওয়ালও স্বীকার করে নিয়েছেন যে জনমানসের তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন পরিষেবা, দুর্নীতি মুক্ত সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই মন্তব্যের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Shekhar Ray)। তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রভাব বিস্তার দেখে আতঙ্কিত আপ (Aap)। সেই কারণেই এই ধরনের কথা বলছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গোয়াতে আপের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। দিল্লির পাশের রাজ্য হরিয়ানাতেই তারা দাঁড়াতে পারছে না। সেখানে দিল্লি থেকে গোয়ায় গিয়ে কী করতে পারবেন কেজরিওয়াল? তৃণমূল প্রতিযোগিতাতে আছে বলেই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল।
গোয়ায় কাপের প্রধান আক্রমণের নিশানা হওয়া উচিত বিজেপি এবং কংগ্রেস। দিল্লিতেও তাদের বিরুদ্ধেই লড়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু সে সব ছেড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে নেমেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, দ্বীপরাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত হতে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে আপ। অস্তিত্ব সংকটে পড়েই এখন জোড়া ফুল শিবিরকেই নিশানা করছেন কেজরিওয়াল।