করোনাকালে গঙ্গাসাগর মেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। নিরাপত্তা নিয়েও থাকছে কড়া নজরদারি। সোমবার, নবান্নে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)মেলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তিনদিনের সফরি মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিকেল চারটেয় কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন বলে জানান তিনি।

একনজরে যা যা নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী:
• গঙ্গাসাগর মেলায় 1050 সিসিটিভি থাকবে।
• ২০টি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
• গঙ্গাসাগর মেলায় দুর্ঘটনা রুখতে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে।
• জিপিএস গাইডেড মনিটারিং, ইন্ট্রিগেটেড কন্ট্রোল রুম থাকছে।
• ভিড় সামলাতে ৫১ কিলোমিটার ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে।
• গঙ্গাসাগর মেলায় পাঁচটা সেফ হোম হবে।
• 600 বেডের কোভিড হাসপাতাল হবে।
• কোভিড প্রোটোকল মেনে গঙ্গাসাগর মেলা।
• সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
• লক্ষ্য দূষণমুক্ত গঙ্গাসাগর মেলা; প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
• ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
• ১০ হাজারের বেশি শৌচালয় থাকছে।
• গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইনে ই-দর্শন হবে।
• অনলাইনে অর্ডার করলে যে কোনও জায়গায় গঙ্গাসাগরের পবিত্রজল ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিন বৈঠক থেকেই ফিরহাদ হাকিম-অরূপ বিশ্বাস-সহ মন্ত্রী এবং বিধায়কদের গঙ্গাসাগর মেলার কাজ বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কে কোন দিকের দায়িত্বে থাকবেন সবাইকে বলে দেন মমতা।
সাগরমেলার জন্য ছদিনে 70 টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে বলে রেলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। জোয়ারের উপরে নির্ভর করে গঙ্গাসাগরে যাতায়াত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এমন মেলা বিরল যেখানে পুণ্যার্থীরা এতটা জল পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে যান। এনিয়ে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসক উল্গানথনের কাছে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক জানান, সাগরে যাওয়ার পথ ড্রেজিং করা হয়েছে। এর ফলে দিনে প্রায় ২০ ঘণ্টা লঞ্চ চালানো যাবে।
গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে ময়দানে যে অস্থায়ী শিবির হয় সেখানেও কোভিড বিধি মানার কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিমকে সবটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। আরটিপিসিআর টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের সবচেয়ে খারাপ রাজ্য উত্তর প্রদেশ, প্রকাশ্যে নীতি আয়োগের রিপোর্ট