ঘটা করে দেশের মানুষের জন্য আধার কার্ড ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। যে কার্ডকে ইউনিক পরিচিতির নম্বর হিসাবে তুলে ধরতে জনগনের পকেট থেকে হাজার টাকা করে দিতেও হয়েছে। কেন্দ্রের সেই টাকা গ্রহণকে রীতিমত ‘চুরি’ বলে দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু করার শুরুতেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যত উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় আধার কার্ডকে (Aadhaar card) নাগরিকত্বের (citizenship) প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করতে। সেখানেই আধার কার্ড সংক্রান্ত দ্বিচারিতায় কেন্দ্রের সরকার বদলানোর ডাক তৃণমূল নেত্রীর।
যে আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরতে মামলা সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেই আধার কার্ডে কীভাবে কেন্দ্রের সরকার চুরি করেছে তা বোঝাতে গিয়ে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন, বলছে এসআইআর (SIR) কো ঐতিহাসিক বনা দিয়া। আধার কার্ড করতে কত টাকা লেগেছিল? এক হাজার টাকা। প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে লুকিয়ে রাখল। তাহলে আমরা কী বলব – চুরি করেছে। চোরকে জবাব দিতে হবে।
দিল্লির বিজেপির সরকারের নির্দেশে নিজেদের ঐতিহাসিক দাবি করা নির্বাচন কমিশনকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, যদি জনতার কাছ থেকে আধার কার্ড তৈরি করার জন্য ১ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকো, তাহলে এখন কেন বলছ ভোটার তালিকার (voter list) জন্য কোনও আধার কার্ড (Aadhaar card) চলবে না?
আধার কার্ড নিয়ে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কমিশন ও দিল্লির সরকার, সেই সরকারকে সরিয়ে ফেলার ডাক দিয়ে এদিন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন, কিন্তু ব্যাঙ্কে যখন আপনারা অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন তখন আধার নম্বর চাওয়া হয়। এর অর্থ কী? কে কাদের সঙ্গে আপনারা বিশ্বাসঘাতকতা করছেন? আধারকার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। আধার কার্ডে আপনার ভোটার হওয়ার অধিকার থাকবে না। তা যদি হবে, তবে পরিবর্তন করে দিল্লির সরকারকে হঠাও দেশ থেকে।
আরও পড়ুন: বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রের বিজেপি-সরকার ভেঙে দেব: হুঁশিয়ারি মমতার
কমিশনের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বাংলার নেত্রীর প্রশ্ন, কত কার্ড বানাবে? রেশন কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, শ্রমিক কার্ড, জাতিগত সংশাপত্র। তারপরে এপিক কার্ডই মানবেন না।
–
–
–
–
