CNCI দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন মোদির, “আগেই উদ্বোধন করে দিয়েছি আমরা”, বললেন মমতা

নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে শুক্রবার উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর(PrimeMinister) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে আজ উদ্বোধন হলেও এই ক্যাম্পাসে উদ্বোধন আমরা আগেই করে দিয়েছি।” পাশাপাশি কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আরো বলেন, এখনো পশ্চিমবঙ্গ তার প্রাপ্য ৪০ শতাংশ করোনার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি।

চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখানে উপস্থিত থেকেছি প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কারণ বাংলার একটি হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে দু’বার ফোন করে ছিলেন। বাংলার উন্নয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ দেখিয়েছেন, এ জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি এখানে উল্লেখ করতে চাইব, এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন আমরা আগেই করে দিয়েছি। কারণ কোভিডের প্রথম তরঙ্গের সময় আমাদের বেশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দরকার হয়েছিল। তখনই এক দিন আমি নিউ টাউনের এই হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস দেখি এবং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা এখানে সেফ হোম তৈরি করি। এই ভবনটি আমাদের খুব কাজে এসেছে।”

আরও পড়ুন:মোদির সামনেই রাজ্যের প্রতি টিকা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে তোপ মমতার

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ক্যাম্পাস তৈরীর জন্য রাজ্য সরকার ২৫% অর্থ এবং ১১ একর জমি দিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের রেকারিং খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে।” এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানান মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা যাতে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি রাজ্য যে প্রাপ্য ৪০% দ্বিতীয় ডোজ পায়নি সেকথাও প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর হয়েছে। তার কথায়, “এই হাসপাতাল বাংলার অনেক নাগরিকের সুবিধা করবে। শুধু কলকাতা নয়, আশপাশের জেলাগুলিও উপকৃত হবে। বিশেষ করে দুঃস্থদের ক্যানসার চিকিৎসায় এই হাসপাতাল বড় ভূমিকা নেবে। বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদেও ক্যানসারের চিকিৎসা হবে।”

Previous articleমোদির সামনেই রাজ্যের প্রতি টিকা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
Next articleরেল স্টেশনে শুধু ট্রেনের টিকিটই নয়, এবার পাবেন বিমান এবং বাসের টিকিটও