স্নাতক স্তরে জ্যোতিষ পড়ানো নিয়ে বিতর্ক, মিটিং শেষে সিলেবাসে ‘বদল’!

বেদ,বেদান্ত, ধর্ম, পুরাণ কলেজের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিয়ে বিতর্ক বাড়ছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, প্রত্যেকটা কলেজে ধর্মচর্চা হলে মন্দির, মসজিদগুলোয় কী হবে? চাপের মুখে এবার সিলেবাসে কাটছাঁট করতে বাধ্য হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (University of Calcutta)। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি (Central New Education Policy) অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়াদের বেছে নিতে হবে একটি ‘কমন ভ্যালু অ্যাডেড কোর্স’ (Common Value Added Course)। এর মধ্যেই হ্যান্ডস অন মেশিন লার্নিং, ডোমেস্টিক অ্যাপ্লিকেশন অফ ইলেকট্রনিক্স, অকুপেশনাল হেল্‌থ ডিসঅর্ডার্স, লাইফস্টাইল ডিজিজ ও প্রতিরোধের উপায়, ভ্যালু ওরিয়েন্টেড লাইফ স্কিল এডুকেশনের পাশাপাশি স্থান পেয়েছিল ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম (indian knowledge system)। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই বিষয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল জ্যোতিষ, বেদ, বেদান্ত, পুরাণের। সেখান থেকেই যত বিতর্কে সূত্রপাত।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত (Shanta Dutta) জানিয়েছিলেন, বাকি অংশ নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও জ্যোতিষটা না রাখাই ভাল। এরপরেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে এই নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের প্রশ্ন, আর ধর্মীয় চর্চা হলে, অন্য ধর্ম কেন পড়ানো হবে না? এই বিষয়টি প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। এরপর জানা গিয়েছে অবশেষে সিলেবাসে কাটছাঁট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ডিনদের নিয়ে তৈরি কমিটির সঙ্গে পাঠ্যক্রম নিয়ে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সেই বৈঠকেই বিতর্কিত বিষয়গুলি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানান, শব্দচয়নের কিছু ভুল হয়েছে। ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেমের প্রথম মডিউলে ‘জ্যোতিষা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। যা প্রাচীনকালে সোলার সিস্টেম ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহৃত হত। এটা অ্যাস্ট্রোনমির কাছাকাছি হলেও অ্যাস্ট্রোলজি নয়। কিন্তু যেহেতু বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে তাই সিলেবাসে কাটছাঁট করা হচ্ছে।


 

Previous articleগুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী! আটক ১ সন্দেহভাজন
Next articleবিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস স্মরণে কলকাতা ডিসান হাসপাতালে বিনামূল্যে ওরাল স্ক্রিনিং ক্যাম্পে অভূতপূর্ব সাড়া