Abhishek Banerjee: করোনাযুদ্ধে মডেল ডায়মন্ডহারবার, দেখিয়ে দিলেন অভিষেক

রোজই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ

ঘোরাল কোভিড পরিস্থিতি। সঙ্কটে মানুষ। জীবন সুরক্ষিত রাখাই একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই শনিবার ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) আলিপুরে বসেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। তাঁর সংসদীয় এলাকায় কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথ কী হবে, তার রূপরেখা তৈরি করলেন। সেখানে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করা থেকে শুরু করে ডবল মাস্কের নির্দেশ রয়েছে। যা দেখে বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন, এটা আসলে একটা মডেল। যা শুধু ডায়মন্ড হারবার কেন, দক্ষিণ২৪ পরগনা সহ গোটা রাজ্যের মডেল হতে পারে।

কী রয়েছে সেই মডেলে? এক নজরে দেখা যাক সেই মডেল…

  • জেলাজুড়ে পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে
  • বাজার এলাকা, বাসস্ট্যান্ড এবং স্টেশনের মতো এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে
  • সমস্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাস্তায় বেরোলে যেন সবাই মাস্ক পরেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে
  • কোভিড-১৯ প্রোটোকল না মানলে জরিমানা
  • সম্প্রতি ১.২ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে
  • সচেতনতামূলক প্রচারে শিল্পী, প্রভাবশালী এবং জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন
  • আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাহায্যে ঘরে ঘরে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

  • যারা হোম আইসোলেশনে আছেন, তাঁদের জন্য রান্না করা খাবার, রেশন শুরু হচ্ছে। দুঃস্থ এবং ট্রান্সজেন্ডারদেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে
  • ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইলস’-এর মতো অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে টিকাদান অভিযানকে বাড়ানো হয়েছে
  • প্রথম ডোজের জন্য ১০০% টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজেও ১০০% সম্পূর্ণ করুন
  • টিকা প্রদানের জন্য আরও একটি অনন্য উদ্যোগ হল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ
  • নৌকায় ভ্যাকসিনেশন আমরা গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে পারি এবং নিশ্চিত করতে হবে সকলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যেন পান
  • শিক্ষার্থীদের জন্য : প্রায় ৩.৫ লাখ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ১ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে

  • সরকারি নির্দেশ অনুসারে, করোনায় মৃতদের পরিবারের কাছে এক্সগ্রাসিয়া পৌঁছে দেওয়া হয়েছে
    জেলা জুড়ে, আমরা সফলভাবে মৃত্যুর হার কমিয়েছি
  • আমরা বেশ কয়েকটি সেফ হোম স্থাপন করেছি৷ অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখা হচ্ছে
  • আমাদের পুলিশ কর্মীরাও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সর্বক্ষণ পরিশ্রম করেছেন। খাবার, মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি নাকা-চেকিং সর্বক্ষণ চলছে
  • আমাদের অন্যান্য ব্যবস্থাও রয়েছে। যেমন ব্লক স্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, টেলি-পরামর্শের ও টেলি-মেডিসিনের সুবিধা
  • চিকিৎসকদের একটি দল ঘরে ঘরে দেখা করবে এবং হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সাহায্য করবে
    টেলি-পরামর্শ পরিষেবা সব সময়ে উপলব্ধ থাকবে
  • টেস্টিং বাড়ানো দরকার – এই বিষয়ে, আমরা আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি, স্বনির্ভর দলের সদস্যরা তাদের আরএটি পরীক্ষা নিতে সাহায্য করে।
  • ১২ জানুয়ারি, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার পরীক্ষা করা
  • আমাদের লক্ষ্য পরীক্ষা বৃদ্ধি, সচেতনতা বৃদ্ধি করা

  • প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে হবে – এই কন্ট্রোল রুমগুলি সর্বদা কাজ করবে এবং মানুষকে প্রয়োজনে সাহায্য করবে
  • প্রতিটি কন্ট্রোল রুমে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থাকা উচিত যাতে কোনও পরামর্শ করা যায়৷ ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। সমাধান ১০ মিনিটের মধ্যে করতে হবে। আমাদের মিশন মোডে এটি অর্জন করতে কাজ করতে হবে
  • আইসোলেশন সেন্টার এবং নিরাপদ হোম সম্পর্কেও সচেতনতা বাড়াতে হবে
  • অনেকে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে যথাযথ কোভিড-১৯ প্রোটোকল বজায় না রাখলে, তাঁরা আশেপাশের লোকদের প্রভাবিত করতে পারেন। সেই কারণে তাদের আইসোলেশন সেন্টার যেতেই হবে
    জনগণকে আস্থায় নিতে হবে এবং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের কল্যাণের জন্য
  • আইসোলেশন কেন্দ্রগুলির রোগীরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
  • ডবল মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে – ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে

  • প্রতিটি কর্মকর্তা, জনসাধারণ প্রতিনিধি এবং পুলিশ কর্মীদের নিশ্চিত করতে হবে, দুটি মাস্ক ছাড়া কেউ যেন বাইরে না বের হন
  • ব্যবসায়িক সমিতি ও ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের দুটি মাস্ক পরার বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
    বাজারগুলি বিকল্প দিনের পরিবর্তে পরপর দুই দিন বন্ধ রাখা উচিত। শনিবার এবং রবিবার বাজার বন্ধের বদলে অন্য দিন বাজার বন্ধ করা যেতে পারে।
  • ১০০% টিকা মিশন মোড সম্পন্ন করতে হবে
  • বৃহত্তর স্বার্থে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক, ধর্মীয় জমায়েত করা যাবে না
  • মাইকিং এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে
  • আমাদের লক্ষ্য, আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে সংক্রমণের হার ৫% এর নিচে নামানো
  • মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

আরও পড়ুন- Missionaries Of Charity:বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ফের বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র পেল মিশনারিজ অব চ্যারিটি

 

 

Previous articleMissionaries Of Charity:বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ফের বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র পেল মিশনারিজ অব চ্যারিটি
Next articleপাঞ্জাবের ‘স্টেট আইকন’ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোনু সুদ