Friday, December 19, 2025

Municipal Election : রাজ্য ও কমিশনকে পুরভোট স্থগিত নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ হাইকোর্টের

Date:

Share post:

পুরসভার ভোট বাতিলের ক্ষমতা কার, রাজ্যের  না কি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের?  বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।যদিও এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি রাজ্য ও কমিশন কেউই। প্রায় এক ঘণ্টার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মন্তব্য করেন, আইন তৈরির ২৯ বছর পরেও নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট নয়। একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। এটা কী ভাবে সম্ভব! রাজ্য ও কমিশনকে পুরভোট স্থগিত নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, কোভিড পরিবেশে আসন্ন চার পুরনিগমের ভোট বাতিলের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতেই ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কে নিতে পারে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, রাজ্য মতামত দিতে পারে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কমিশনই। নির্বাচন পরিচালন সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদেরই সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। অবশ্য, কমিশনের আইনজীবী জয়ন্তকুমার মিত্র জানান, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।

এরপরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ভোটের দিন ক্ষণ কে ঠিক করে? কমিশন বলছে, রাজ্য। আর রাজ্য বলছে, কমিশন। কোনটা ঠিক?  কমিশনের আইনজীবীর জানান, রাজ্য সুপারিশ করে। সেই মতো কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।সওয়াল পাল্টা সওয়ালের সময় প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “তা হলে ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কে নিতে পারে?” কমিশনের আইনজীবী বলেন, “রাজ্য চাইলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট বন্ধ করতে পারে।” এই সময় অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি, ভোট স্থগিত নিয়ে  আগে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আছে। তাছাড়া ১২ হাজার ৪০০ ভোটকর্মী রয়েছেন(রিজার্ভ ভোটকর্মী মিলিয়ে আছেন)। এর মধ্যে ৯ হাজারের কিছু বেশি নিযুক্ত হবেন। ৩৭৫০ কর্মী রিজার্ভে থাকবেন। প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পেয়েছেন। বুথে গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি পরে তারা কাজ করবেন।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, চারটি পুরসভায় কার্যত ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। যাঁরা কন্টেনমেন্ট জোনে আছেন, তাঁরা একেবারে শেষ লগ্নে এসে ভোটদান করতে পারবেন। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, আসানসোলে ১৬.০৪ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে। আসানসোলে প্রথম ডোজ ৯৮ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৯৫ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন। ৯ শতাংশ % সংক্রমণ চন্দনগরে। বিধাননগরে ১০০ শতাংশ মানুষ দুটি ডোজই পেয়েছেন। ১৯.৫ শতাংশ সংক্রমণ শিলিগুড়িতে। সেখানে ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ, ৯২ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবারের সওয়ালে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সংক্রমণের নিরিখে বাংলা এখন দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে আক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কিছু দিনের জন্য এই নির্বাচন স্থগিত করা হোক।সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।

আদালত জানায়, এ নিয়ে রায় দান আপাতত স্থগিত থাকল। দু’এক দিনের মধ্যেই রায় ঘোষণা করা হবে।

 

spot_img

Related articles

হিজাব বিতর্কে নয়া মোড় ,সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন না মহিলা চিকিৎসক!

বিহারের সরকারি অনুষ্ঠানে মহিলা চিকিত্‍সকের মুখ থেকে হিজাব টেনে নামিয়ে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ...

কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো-র সংবাদপত্রের দফতরে হামলা! 

বাংলা দৈনিক প্রথম আলো-র দফতরে হামলা! বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একদল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি সংবাদপত্রটির দফতরে ঢুকে একাধিক তলায় ব্যাপক...

জলপাইগুড়ির আকাশে ভিনগ্রহীদের যান! রহস্যময় আলো ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

বৃহস্পতিবার রাতের আকাশে হঠাৎ রহস্যময় আলো ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলায় (Jalpaiguri District)। কেউ বলছেন উল্কা কেউ বলছেন ইউএফও...

এসআইআর প্রক্রিয়ায় নজির! প্রথমবার ভোটারকে শো-কজ কমিশনের

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এই প্রথম কোনও ভোটারকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এক...