উষ্ণতা হারিয়ে দ্রুত পৃথিবী হয়ে যেতে পারে নিষ্প্রাণ !

আর কয়েকদিন পর পৃথিবীতে (Earth) আর বসবাস করার মতো পরিস্থিতি থাকবে না। এমনই ভয়াবহ কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটরি সায়েন্স লেটার্স’-এ।

ভূপৃষ্ঠের নীচে পৃথিবীর (Earth) অন্দরের মূলত দু’টি স্তর রয়েছে। একটির নাম— ‘ম্যান্টল’। অন্যটি, ‘কোর’। এই দু’টি স্তরেরই ভিতর ও বাইরে, দু’টি উপস্তর রয়েছে। পৃথিবীর একেবারে অন্দরে (যাকে পৃথিবীর হৃদয়ও বলা যায়) কোর-এ রয়েছে অসম্ভব উষ্ণ গলিত ধাতুর স্রোত। সেই স্রোতের পরিচলনই পৃথিবীর হৃদস্পন্দন। হৃদপিণ্ডের ‘লাব-ডুব’।

আরও পড়ুন – ডালাসে রেকর্ড করল স্পাইডারম্যানের একটি পাতা, দর উঠল ২৪ কোটি ! 

কিন্তু গবেষকরা দেখেছেন, সেই অত্যন্ত উষ্ণ গলানো ধাতুর স্রোত খুব দ্রুত হারে ঠান্ডা হয়ে আসছে। এর ফলে সেই গলানো ধাতুর স্রোত খুব তাড়াতাড়ি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ছে। এই উষ্ণ গলানো ধাতুর স্রোতের পরিচলনই ভূস্তর ও ভূগর্ভের নানা পরিবর্তন ঘটায়। টেকটনিক প্লেটগুলিকে নামায়, ওঠায়। একে অন্যের উপর দিয়ে সরিয়ে দেয় এক জায়গা থেকে অন্যত্র। তার ফলে, ভূমিকম্প হয়। জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরি। হয় অগ্ন্যুৎপাত। যা কয়েকশো কোটি বছর ধরে প্রাণের অস্তিত্ব ও টিকে থাকার সহায়ক হয়েছে।

পৃথিবীর হৃদয়ের এই অত্যন্ত উষ্ণ গলিত ধাতুর স্রোতের পরিচলনের জন্যই পৃথিবীর চারপাশে তৈরি হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উবে যেতে বাধা দিচ্ছে। সূর্য থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর হানাদার ও মহাজাগতিক রশ্মির হাত থেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেছে। করে চলেছে। প্রাণকে টিকিয়ে রাখছে।

প্রসঙ্গত, গবেষকরা দেখিয়েছেন, সেই ব্রিজম্যানাইটের জন্যই পৃথিবীর কোর-এর তাপ উপরে থাকা ম্যান্টলে উঠে আসছে এত দিনের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি হারে। ফলে, পৃথিবীর হৃদয় (কোর) ঠান্ডা হয়ে আসছে খুব দ্রুত হারে। অস্বাভাবিক গতিতে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া আগামী দিনে আরও ত্বরান্বিত হবে। যার অর্থ, পৃথিবীর হৃদয় কঠিন, নিষ্প্রাণ হয়ে উঠবে আরও দ্রুত হারে। আর সেটা হবে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে গিয়ে খনিজ ব্রিজম্যানাইট অন্য একটি পদার্থে রূপান্তরিত হচ্ছে বলে। এই পোস্ট-পেরোভস্কাইট আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীর কোর-এর তাপ টেনে নিচ্ছে। ফলে, পৃথিবী দ্রুত নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ছে। গবেষকদের দাবি, চৌম্বক ক্ষেত্র আর বায়ুমণ্ডল হারিয়ে পৃথিবীও হয়ে পড়বে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গল-এর মতো।

Previous articleAndhra Pradesh পশুবলি দিতে গিয়ে যুবকের গলায় কোপ, রক্তাক্ত হলো মন্দির নরহত্যায়! 
Next articleপ্রকাশিত করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা, দূরে থাকতে হবে স্টেরয়েড থেকে