পাত্তাই দিচ্ছেন না শাহ-নাড্ডারা, বঙ্গে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে, বিস্ফোরক তথাগত

রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী এককাট্টা হয়েছে

বঙ্গ বিজেপিতে (West Bengal BJP) এখন জোর কোন্দল। এরাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বে কার্যত “টুকরে টুকরে গ্যাং”-এর রূপ নিয়েছে বিজেপি। লাগামছাড়া বিশৃঙ্খলা। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে সমান্তরাল পার্টি চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপির একাধিক গোষ্ঠী। দলের রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি গঠন নিয়ে গেরুয়া পার্টিতে গৃহযুদ্ধ চলছে জোরকদমে। কেন্দ্রের জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) নেতৃত্বে বেশকিছু বিধায়ক ও রাজ্য সংগঠনের প্রাক্তন পদাধিকারীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বঙ্গের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে এককাট্টা করতে পিকনিক থেকে শুরু করে গেস্ট হাউসে বৈঠক কিংবা ট্রেনে-বাসে, রাস্তাঘাটে পোস্টারে ছয়লাপ করেছে একটা অংশ।

আরও পড়ুন:স্বামীর হাতেই খুন অভিনেত্রী রাইমা, একদিনেই রহস্য ফাঁস

বিক্ষুব্ধরা সরাসরি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitava Chakraborty) সরাসরি অপসারণ চেয়ে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলা নিয়ে এখন তাদের ভাবার সময় নেই। অমিত শাহ, (Amit Sah) জেপি নাড্ডা (J P Nadda) থেকে শুরু করে বিজেপি শীর্ষ নেতারা ব্যস্ত উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন নিয়ে। ফলে আরও মাস লদুয়েক বঙ্গ বিজেপির এই অচলাবস্থা যে চলবে তা স্পষ্ট হয়েছে বাংলা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের “ডোন্ট কেয়ার” মনোভাবে।

সরাসরি বিক্ষুব্ধদের পক্ষে নাম না লেখালেও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) কিন্তু প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে শান্তনু ঠাকুর গোষ্ঠীর দিকেই। বঙ্গ বিজেপিতে বিবেকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় প্রায় রোজই কখনও টুইটে আবার কখনও সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তিনি। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বর দিকে আঙুল তুলছেন তথাগতবাবু। নগরের নটী, কামিনী-কাঞ্চন তত্ত্বের উপর এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। এবং বঙ্গ বিজেপি যে আদর্শচ্যুত, হয়েছে সে বিষয়টি নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিলেন। তথাগতবাবুর বক্তব্য, রাজ্যে যেভাবে দল পরিচালিত হচ্ছে, তাতে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একের পর এক নির্বাচনে শুধু ভরাডুবি নয়, এভাবে চলতে থাকলে বিজেপি দলটাই অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উঠে যাবে।

Previous articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleBreakfast sport: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস