বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাবালিকার গলায় ছুরি চালাল এক যুবক

নাবালিকার গলায় ছুরি চালাল এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসমা খাতুন নামক ওই কিশোরীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর (Medinipur) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। গলার সঙ্গে তার হাত ও পায়েও আঘাত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা ওই যুবকের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাগের বশে তার গলায় ছুরি মারে। হামলার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার ৬ নম্বর ক্ষীরাই অঞ্চলের জোড়াবাঁধ এলাকায় বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত মুস্তাফা খাঁ। যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পিংলা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাঁধ এলাকার বাসিন্দা শেখ আনসার আলির মেয়ে আসমা খাতুন বুধবার রাতে বাড়ির কাছেই সার্কাস দেখতে যায়। অভিযোগ, সার্কাস শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথেই তার উপর হামলা চালায় অভিযুক্ত মুস্তাফা খাঁ। নাবালিকা আসমা খাতুনের পথ আটকে প্রথমে তার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। তারপরই গলায় ছুরি চালায়। হামলার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কিশোরী।

খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে দৌড়ো আসে। তারাই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পিংলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলিস্বরপুর এলাকার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের মুস্তাফা খাঁ বিবাহিত। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নাবালিকা আসমা খাতুনকে উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত। এমনকি ওই কিশোরীকে বার বার বিয়ের প্রস্তাবও দেয় সে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কোনওভাবেই রাজি না হওয়ায় এই হামলা চালায়।