জৈব সুরক্ষা বলয়, কম ভেনুতে জোর বোর্ডের; রঞ্জি ট্রফি শুরু হতে পারে ১৪ ফেব্রুয়ারি

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রঞ্জি ট্রফি শুরু হতে পারে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ৯-১১ ফেব্রুয়ারি কোয়ারেন্টিন। বৃহস্পতিবার রঞ্জি নিয়ে ডাকা বৈঠকে এরকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে।
বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল  জানিয়েছেন, দু’দফায় হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। আইপিএলের আগে ও পরে। বোঝা যাচ্ছে এক ডজন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার দাবিকে মান্যতা দিতে হল বোর্ডকে। যারা রঞ্জি চেয়ে বোর্ডে আর্জি জানিয়েছিল। না হলে করোনায় পরপর দু’বার রঞ্জি বাতিলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।

এরইমধ্যে বোর্ডের চাপ বাড়িয়েছে রবি শাস্ত্রীর একটি টুইটও। শুক্রবার তিনি টুইট করেন, ‘রঞ্জি ট্রফি হল ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদন্ড। যে মুহূর্তে একে অবহেলা করা হবে, ভারতীয় ক্রিকেটও মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়বে’। শেষবার এই টুর্নামেন্টের ম্যাচ হয়েছিল দু’বছর আগের রাজকোটে বাংলা-সৌরাষ্ট্র রঞ্জি ফাইনাল।
নিজেদের মধ্যে ফের বৈঠকের পর সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার মত নেবে বোর্ড।

বাংলার ক্ষেত্রে যেমন ১৩ জানুয়ারি ত্রিপুরার সঙ্গে গ্রুপের ম্যাচ ছিল বেঙ্গালুরুতে। সূচিতে খুব বেশি পরিবর্তন না হলে অভিমন্যু ঈশ্বরণরা ফের বেঙ্গালুরুতেই ত্রিপুরা ম্যাচ খেলবেন। শুধু আইপিএলের কথা মাথায় রেখে আরও কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের কথা ভাবা হয়েছে। ভাবা হয়েছে ভেনু কমিয়ে আনার কথাও।

তিনশো ক্রিকেটার, কোচ-সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ অফিসিয়ালদের রুটি-রুজি জড়িয়ে এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে। গতবার রঞ্জি না হওয়ায় আর্থিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন সবাই। শুধু ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে হিসেব এইরকম, ২০১৯-২০-তে রঞ্জি ম্যাচে দিনপিছু তাঁরা পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা। কেউ পুরো মরশুমে সব ম্যাচ খেলে সর্বাধিক পেয়েছেন ১৪.৩৫ লাখ টাকা। তবে অনেকের কাছেই টাকারও আগে ক্রিকেট। তাঁরা বলছেন, টাকা পরে, আগে মাঠে নামতে চাই। তবু আরও একটা মরশুম রঞ্জি-হীন কাটলে প্রবল সমস্যায় পড়তেন সবাই।

রঞ্জি নিয়ে বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আরও একটি কারন আছে। সেটা হল পূজারা, রাহানে, ইশান্ত শর্মাদের মতো ফর্ম হারানো ক্রিকেটারদের সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেদের পুন:প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দেওয়া। এঁরা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে আদৌ দলে থাকবেন কিনা কেউ জানে না। কিন্তু প্রচারের সার্চ লাইটের বাইরে গিয়ে ফাঁকা মাঠে খেলে নিজেদের ফেরানোর একটা সুযোগ পেতে পারেন রাজ্য দলের হয়ে নামলে। রঞ্জি না হলে এঁদের জন্য প্রথম শ্রেণির কোনও ম্যাচই থাকত না।

একসময় এই রঞ্জিতে খেলেই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন মহিন্দর অমরনাথ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটাররা। তবে রঞ্জি নিয়ে সবটাই এখনও ভাবনার স্তরে। বিভিন্ন রাস্তা খোলা রেখেছে বোর্ড। কিন্তু সব ভাবনা এক রাস্তায় মিলে যাচ্ছে। সবাই চান ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বল মাঠে গড়াক।

Previous articleকোথায় দু’গজের দূরত্ব? কোথায় মাস্ক? কোভিড বিধি শিকেয় তুলে ‘শাহি প্রচার’ উত্তরপ্রদেশে
Next articleRABI SHASHTRI: এখনই কমেন্ট্রি বক্সে ফেরার সম্ভাবনা নেই শাস্ত্রীর