Kiyan Nasiri: ‘এখানেই থামতে চাই না’, মোহনবাগানের হয়ে পরবর্তী ম‍্যাচেও এই ধারাবাহিকতা রাখতে চাই’, বললেন কিয়ান

'বাবার সঙ্গে মাঠে অনুশীলন করেছি। বাবা কখনও কোনও লক্ষ্য বেঁধে দেননি। উনি শুধু বলেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।', বলেন কিয়ান

আইএসএলে ( Isl) ফিরতি ডার্বিতে ( Derby) এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ( Sc EastBengal) ৩-১ গোলে হারিয়েছে এটিকে মোহনবাগান ( Atk Mohunbagan)। সৌজন্যে পরিবর্ত হিসাবে নামা কিয়ান নাসিরি ( Kiyan Nasiri)। ডার্বিতে তিন গোল করে ম‍্যাচের নায়ক তিনি। বাগান সমর্থকদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন কিয়ান। ডার্বির মতন হাইভোল্টেজ ম‍্যাচে এই পারফর্মেন্স করে উচ্ছ্বসিত কিয়ান। এদিন সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন বাগানের উঠতি তারকা।

ডার্বিতে হ‍্যাটট্রিক করেছেন কিয়ান। তবে এখনই সেই আবেগে গা ভাসাতে চাননা কিয়ান। এই নিয়ে কিয়ান বলেন, “ডার্বিতে নেমে হ্যাটট্রিক করেছি এটা এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। ডার্বিতে গোল করার স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও ছিল। তা সত্ত্বেও বলছি আমি মূলত উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার। গোল করাটা আমার কাজ। সেটাই করেছি। ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।”

শুধু ডার্বিতেই থেমে থাকতে চাননা কিয়ান। পরবর্তী ম‍্যাচে এই পারফরম্যান্সই ধরে রাখতে চান তিনি। এই নিয়ে কিয়ান বলেন, “আমার এখন একটাই লক্ষ্য আরও বেশি সময় মাঠে থাকা। কোচের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, তিনি ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমার উপর ভরসা রেখেছেন। সেজন্যই আমি গোল করতে পেরেছি। আমাদের দল অত্যন্ত শক্তিশালী। এখানে আমার মতো জুনিয়র ফুটবলারের সুযোগ পাওয়া কঠিন। সেজন্যই আরও পরিশ্রম করে দলে জায়গা পেতে হবে। ডার্বিতে গোল করে থেমে থাকলে হবে না। পরের ম্যাচে সুযোগ পেলেই ভাল খেলতে হবে।”

ডার্বিতে তিন তিনটি গোল। কোন গোলটি সেরা? এর জবাবে কিয়ান বলেন,” তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাই সেরা। কারণ ওই গোলেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি।”

বাবা জামশেদ নাসিরি। এককালে লাল-হলুদ জার্সি পড়ে ডার্বিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। সেই বাবার থেকে কোন উপদেশ পেয়েছেন? জবাবে কিয়ান বলেন,” আমার বাবার কোনও খেলা আমি দেখিনি। শুনেছি উনিও ডার্বিতে গোল করেছেন অনেক। বাবার সঙ্গে মাঠে অনুশীলন করেছি। বাবা কখনও কোনও লক্ষ্য বেঁধে দেননি। উনি শুধু বলেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।”

বাইচুং ভুটিয়া ও এডে চিডির পর বড় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন কিয়ান। এই নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই নিয়ে কিয়ান বলেন, “শুনলাম কলকাতা ডার্বিতে আমি ছাড়া হ্যাটট্রিক করেছেন বাইচুং ভুটিয়া ও এডে চিডি। ওরা দুজনেই তারকা ফুটবলার। ছোটবেলা থেকেই ওদের নাম শুনেছি। আমি তো একেবারেই জুনিয়র। ওদের কাছে পৌছতে পারলে ভাবব কিছু করেছি।”

আরও পড়ুন:U-19 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে লক্ষণকে কৃতজ্ঞতা জানালেন যশ