Sunday, August 24, 2025

রানি শিরোমণির কর্ণগড়কে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ড্রিম প্রজেক্ট কর্ণগড় (Karnagarh)। সংরক্ষিত গড়ের নামকরণ হয়েছে, রানি শিরোমণি (Rani Shiromoni) গড়। এবারে সেই কাজ কতদূর এগোলো তার দেখভালের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাঁধে।

ওই পর্যটন কেন্দ্রকে (Karnagarh) ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী প্রমুখকে দ্রুত সেখানকার পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেন।অধুনা বিস্মৃত রানির কীর্তির কথা তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনি , পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়ি এবং শহিদ ক্ষুদিরামের বাড়ি সংস্কার করে সেগুলি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: তাজপুরে নতুন শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে, বাড়বে কর্মসংস্থান: মুখ্যমন্ত্রী

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্বীকৃতি পেতে চলেছে কর্ণগড়। ইতিমধ্যে রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে জেলাস্তরে এই বিষয়ে মৌখিক বার্তা পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, কর্ণগড়ে থাকা স্থাপত্যের স্বীকৃতি মিলবে ‘স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট’ হিসেবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রানি শিরোমণি (Rani Shiromani)। তাঁর রাজধানী ছিল কর্ণগড়। এই বিদ্রোহকে বলা যেতে পারে ব্রিটিশ বিরোধী কৃষক বিদ্রোহ (Farmer revolution)।

কর্ণগড়ে (Karnagarh) এখনও রয়েছে গড়ের ধ্বংসাবশেষ। নিজেদের আবেদন সর্বস্তরে তুলে ধরেছিল ভালোবাসি কর্ণগড় ও হেরিটেজ জার্নি সংগঠন। ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি, রানি শিরোমণি ও চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিশত বর্ষ উদযাপন কমিটি, অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় সমাজ, জেলা কুড়মি সেনা পাঁচটি সংগঠন মিলে তৈরি হয়েছিল শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। প্রথম থেকে আবেদন ছিল, খাতায়-কলমে হেরিটেজ মর্যাদা পাক কর্ণগড়। পাঠ্যপুস্তকে অধ্যায় হিসেবে স্থান পাক রানি শিরোমণি ও কর্ণগড়। বিভিন্ন দফতর, অধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলেন নিসর্গ নির্যাস মাহাতো, সুনীল বিশ্বাস, তন্ময় সিংহ। পাশে পেয়েছিলেন অনেক বিশিষ্ট মানুষ ও সংগঠনকে। লড়াইটা ছিল প্রায় তিন বছরের। উদ্দেশ্য একটাই, জেলার মুকুটে আরও একটা নতুন পালক যুক্ত হওয়া। অখন্ড মেদিনীপুরবাসী হিসেবে এটুকুই চাওয়া। আবেদনকারীদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version