Thursday, August 28, 2025

লতা মঙ্গেশকরের আসল নাম হেমা। ১৯২৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। যিনি একজন নাট্য অভিনেতা ও গায়ক ছিলেন।আগের নাম হেমা থাকলেও বাবার “ভাব বন্ধন” নাটকে “লতিকার” চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা।

আরও পড়ুন:Lata Mangeshkar:প্রয়াত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর

যতীন্দ্র মিশ্রর বই “লতা সুর গাথা” তে লতা বলেছেন..তাকে ভেবে, “সত্যম শিবম সুন্দরমের” চিত্রনাট্য লিখেছিলেন রাজ কাপুর। অনেক আগে উনি চেয়েছিলেন মুখ্য ভূমিকায় আমি অভিনয় করি। আমার ইচ্ছে না থাকায় আমি না করে দিয়েছিলাম ওই প্রস্তাবে। যদিও ছবি তৈরিতে কোনও বাধা হয়নি। অনেক পরে ৮০ র দশকে যখন আবার ছবিটি তৈরির কথা ভাবেন তখন জিনাত আমানকে নেন ছবিতে।

লতাজির প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা । প্রথম বার মঞ্চে গাওয়ার জন্য লতা ২৫ টাকা উপার্জন করেছিলেন। লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি ‘কিটি হাসাল’ এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর এবং বোন ঊষা মঙ্গেশকর, মিনা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে সকলেই সঙ্গীতজ্ঞ।

বলিউডে লতা মঙ্গেশকরকে নিজের ছোট বোনের মত দেখতেন দিলীপ কুমার। আবার লতাও দিলীপ কুমারকে সব থেকে কাছের মানুষ মনে করতেন ইন্ডাস্ট্রিতে। একবার দিলীপ কুমার লতার উপর খুব রেগে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে লতা নিজের প্রথম প্রোগ্রাম করছিলেন, যেখানে অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য দিলীপ কুমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দিলীপ কুমার নিজের কাজ ভীষণ মন দিয়ে করতেন এবং ছোট ছোট বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিতেন। পাকিজা ছবির গান “ইনহি লোগো নে লে লি দুপাট্টা মেরা” এই গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে নিমরাজি ছিলেন তিনি। লতাজিকে দিলীপ কুমার প্রশ্ন করেছিলেন, ” অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই গানটি কেন করতে চাইছেন আপনি?” লতা তখন দিলীপ কুমারকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন যে এই গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান এবং মানুষ এটি শুনতে চাইছেন। কিন্তু তখন দিলীপ কুমারকে কোনভাবেই বোঝানো যায়নি। তিনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন।

যতীন মিশ্রর বই, “লতা সুর গাথা”তে লতাজি বলেছেন, প্রায়ই রেকর্ডিং করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আমি, আর ভীষণ খিদে পেত আমার। তখন রেকর্ডিং স্টুডিওতে ক্যান্টিন থাকত। তবে নানা রকম খাবার পাওয়া যেত কিনা মনে নেই। তবে চা-বিস্কুট খুঁজে পাওয়া যেত তা বেশ মনে আছে। এক কাপ চা আর দু চারটে বিস্কুট খেয়েই সারাদিন কেটে যেত। এমনও দিন গেছে যে দিন শুধু জল খেয়ে সারাদিন রেকর্ডিং করছি , কাজের ফাঁকে মনেই আসেনি যে ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে আসতে পারি। সারাক্ষণ মাথায় এটাই ঘুরতো যেভাবে হোক নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে।

Related articles

সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে আশা আলো, ফিফার পর এএফসির চিঠি ফেডারেশনকে

বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের সব নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে যে অচলাবস্তা চলছে তার জল গড়িয়েছে...

বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, মুখ পুড়ল বিরোধী দলনেতার

বিধানসভায়(WB Assembly) কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে বিড়ম্বনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shubhendu Adhikari)। সম্প্রতি রাজ্য...

দুর্গাপুজোয় বাংলায় হয় কোটি টাকার ব্যবসা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

দুর্গাপুজো(Durga Puja) আমাদের গর্ব। বাংলার বড় উৎসব। এই দুর্গাপূজা(Durga Puja) থেকেও এক কোটি টাকার ব্যবসা হয়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের...

অতীত ব্যর্থতা ভুলে ডায়মন্ডের জার্সিতে সামনে তাকাতে চান ব্রাইট

ডুরান্ড কাপ(Durand Cup) ফাইনালে হারলেও ময়দানের চতুর্থ শক্তি হিসেবে উদয় হয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আগামী আই লিগ চ্যাম্পিয়ন...
Exit mobile version