Saturday, May 17, 2025

আপনার সন্তান (child) কি সারাক্ষণ মোবাইল স্ক্রিনের (Mobile Screen) দিকে তাকিয়ে থাকে? আপনি কি জানেন এর ফলে কি মারাত্মক প্রভাব (effect) পড়তে পারে তার জীবনে? আপনার অজান্তেই আপনার বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্যা (child) বা সদস্যা বড় বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে নেই তো?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাত্রাতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ (screen time) মস্তিষ্কে (brain) ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে,এমনকি মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ‘স্ক্রিন টাইম’ (screen time) আসলে কী? একজন ব্যক্তি সারাদিনে নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স বস্তু যেমন মোবাইল, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট (mobile screen) এই সবের দিকে তাকিয়ে থাকে। যতটা সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, সেই সময়ের যোগফলকে বলে ‘স্ক্রিন টাইম’ (screen time)। আর আপনার জীবনে এই স্ক্রিন টাইম (screen time) যত বেশি হবে ততই সমস্যা বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ carlos brathwaite: ইডেনের নামে নিজের সদ্যোজাত মেয়ের নাম কার্লোস ব্রেথওয়েট

আরও পড়ুনঃ ধাক্কা সামলে আরও ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ৪৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সের

করোনাকালে মানুষ অনেক বেশি করে অনলাইন জীবনে অভ্যস্ত হয়েছেন। তা সে পড়াশোনা হোক বা অফিসের কাজ। ফলে জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে স্ক্রিন টাইমের (screen time) গুরুত্ব বেড়ে গেছে। তবে এটাও ঠিক যে এর স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর দিক নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত আবশ্যক।

ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস-এর গাইডলাইন অনুসারে:-

২ বছরের কমবয়সি শিশুকে কোনওভাবেই মোবাইল, টেলিভিশন, ট্যাবলেট বা অন্য ধরনের ভিস্যুয়াল ডিভাইসের স্ক্রিনের সামনে আনা চলবে না।

যে সব শিশুদের বয়স à§§ থেকে à§« বছরের মধ্যে তাদের ১ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম দেওয়া যাবে না।পাশাপাশি à§« বছরের ওপরে যাদের বয়স সেই সব শিশুদের ক্ষেত্রে ‘স্ক্রিন টাইম’ বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত।

শিশুরা যদি দীর্ঘক্ষণ ভিস্যুয়াল ডিভাইসের সামনে থাকে তাহলে তাদের সার্বিক বিকাশের সমস্যা হতে পারে। শিশু থেকে শুরু করে বয়ঃসন্ধির কিশোর-কিশোরীর মনে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম মারাত্মক কুপ্রভাব ফেলে। শিশুদের মধ্যে মধ্যে দেখা যায় অস্থিরতা, আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়। ইন্টারনেটে ভুল সাইটে ব্রাউজ করার ফলে আসক্তি বাড়ে। পর্নোগ্রাফি, অশালীন ভিডিও মানসিক ভাবে শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করে,চোখের সমস্যা তৈরি হয়।

মনে রাখা দরকার, শিশু সবার আদরের, সবার প্রিয়। কিন্তু প্রয়োজনে তাকে শাসন করতে হবে মা বাবাকেই। প্রত্যেক শিশুর কাছে তার বাবা-মা হল প্রথম রোল মডেল। তাই মা বাবার উচিত সৃজনশীল কাজকর্মে শিশুর মনোনিবেশ করানো।

 

Related articles

এবার নাম বদলের রাজনীতি বিহারে! গয়া হল ‘গয়াজি’

বিজেপি জমানায় নাম বদলের রাজনীতি নতুন নয়। আর তার শীর্ষে অবশ্যই যোগি আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশ। তবে এবার...

আইএমএ বাংলার নির্বাচন বাতিল ঘোষিত! দুমাসে কমিটি গঠনের নির্দেশ

চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) রাজ্যের ২০২৫-২৭ নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই বাতিল করে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় শাখার তরফে। নির্বাচন...

নির্দেশ দেখে পদক্ষেপ: ডিএ নির্দেশে প্রতিক্রিয়া চন্দ্রিমার

রাজ্য সরকারের কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ (DA) দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এক ঘোষণায় সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৯...

টুটু বোসের ইস্তফা প্রসঙ্গে দেবাশিসের পাল্টা মুখ খুললেন সৃঞ্জয়

মোহনবাগানে(Mohunbagan) নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। সেইসঙ্গেই চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। এই মুহূর্তে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল...
Exit mobile version