বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডোনেত্সক ও লুহানৎসকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি রাশিয়ার

পশ্চিমী দেশগুলির বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনের(Ukrain) সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের পথেই এগোচ্ছে রাশিয়া(Russia)। সোমবার ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডোনেত্সক ও লুহানৎসকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল পুতিন সরকার(Putin Govt)। শুধু তাই নয়, এই ঘোষণার ঠিক ডোনেত্সকের সড়কে দেখা মিলল রাশিয়ার যুদ্ধ ট্যাঙ্কের।

সোমবার রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বার্তায় পুতিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে ডোনেত্‍সক গণপ্রজাতন্ত্রী এবং লুহানৎসক গণপ্রজাতন্ত্রীর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। যে সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল।’ শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধের বার্তা দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও জানান, পূর্ব ইউক্রেনে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কিয়েভকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। না হলে ইউক্রেনকে রক্তপাতের সম্মুখীন হতে হবে। এই রক্তপাতের দায় সম্পূর্ণরুপে বর্তাবে ইউক্রেনের উপর।

আরও পড়ুন:চিকিৎসা শাস্ত্রেও হিন্দুত্ববাদ! কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হিপোক্রেটিকের বদলে চরক শপথ পাঠ

ইউক্রেনকে তোপ দাগার পাশাপাশি এক ঘণ্টার ভাষণের শেষে রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলকে তাঁর সিদ্ধান্তের সমর্থন করার আর্জি জানান পুতিন। এমনিতে পুতিন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার ভোট দেবে রাশিয়ার সংসদের নিম্ন এবং উচ্চকক্ষ। পাশাপাশি ক্রেমলিনে বসে ডোনেত্‍সক এবং লুহানৎসকের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে রাশিয়ার ঘোষণার পর ডোনেত্সকের সড়কে ট্যাঙ্কারের দেখা মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক দাবি করেন যে তিনি অন্তত সাতটি ট্যাঙ্ক দেখেছেন ডোনেত্সলক। যদিও এই ট্যাঙ্ক কোন দেশের বা কোন পক্ষের, তা জানা যায়নি। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ট্যাঙ্কগুলির গায়ে কোনও লোগো ছিল না যা থেকে বোঝা যাবে যে এগুলি ইউক্রেন সেনার নাকি রাশিয়ার নাকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।