হার নিশ্চিত জেনেই পুরভোটে সন্ত্রাস করছে বিজেপি । রবিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন । কুণালবাবু বললেন রাজ্যের ২০ জেলার ১০৭টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট হচ্ছে ২২৭৬ ওয়ার্ডের ১১২৮০ টি বুথে । কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছে। বিরোধীরা হার নিশ্চিত জেনে প্ররোচনা দিচ্ছেন। যাতে হার জাস্টিফাই করা যায়। বিজেপি প্রচারে ভেসে থাকতেই এসব করছে। হার নিশ্চিত জেনে ইভিএম ভেঙেছে। কিছু ভিডিও এসেছে। দেখা যাচ্ছে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং ও দিলীপ ঘোষরা ঘুরে ঘুরে প্ররোচনা দিচ্ছেন। সব সংবাদমাধ্যম ও বিরোধী দলের অভিযোগ মিলিয়ে সংখ্যাটা মাত্রই কয়েক শতাংশ। এখন অভিযোগ বা নাটক বা অতিনাটক সব সামনে আসছে। বাংলার মানুষ সবটা দেখেছেন, দেখছে ঘোষন। মানুষ প্রচার দেখেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে যে জনসমর্থন রয়েছে তা মানুষ জানেন। সিপিএমের মিছিলে লোক ছিল না। বিজেপির মিছিলেও না।

তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, আমরা আমাদের দলের সকলকে সতর্ক করেছি। কেউ কোনও প্ররোচনায় জড়িয়ে পড়বেন না। কোথাও কোনো জটলা বা ভিড় দেখলেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে সরিয়ে দিচ্ছেন । তারপরেও বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নানা অভিযোগ করছে। বিজেপি ভুলে গেছে বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও তারা কিন্তু হেরেছে।

কুণাল ঘোষ বললেন, খবর আসছে কোথাও-কোথাও কোনও-কোনও সংবাদমাধ্যম ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। আবার খবর আছে কয়েক জায়গায় সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ হচ্ছে । এই ঘটনা অনভিপ্রেত । এটা এড়ানো উচিত ছিল। ইতিমধ্যেই কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে ।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে। এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। চিত্রনাট্যকার এন কে সলিলকে দিয়ে সুকান্ত বাবু -দিলীপবাবুরা চিত্রনাট্য লিখিয়েছেন । আর সংলাপ লেখকের লেখা এসব কথা চারদিকে বলে বেড়াচ্ছেন। বিজেপির নিজেদের মধ্যেই কোনো সমন্বয় নেই । হিরণ মানে না দিলীপ ঘোষকে। সুকান্ত মজুমদার পছন্দ করেন না দিলীপ ঘোষকে। জয়প্রকাশ মজুমদার সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষকে পছন্দ করেন না। এক নেতা আরেক জনকে পছন্দ করেন না। এরা আবার মানুষের মন বুঝবে কি? এরা ভোট বোঝে না । বিজেপি শুধুই সস্তার রাজনীতি করতে জানে । আর কিছুই জানেনা।
