Sunday, August 24, 2025

Russia-Eucraine : ইউক্রেনীয়দের সাহায্যেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাংলায় ফিরলেন মালদহের দুই পড়ুয়া হামিদ ও আশিস

Date:

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে কোনোক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে বাংলায় ফিরে এলো দুই সন্তান। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মাসুম হামিদ পারভেজ এবং ধূপগুড়ির আশিস বিশ্বাস। দুজনেই সোমবার দেশে ফিরেছেন।

ধূপগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্র আশিস বিশ্বাস ডাক্তারি পড়তে  গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভারত সরকারের তৎপরতায় অবশেষে নিজের বাড়িতে আশিস। আর তাকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত পরিবার, খুশি গ্রামবাসীরা। সকলে মিলে আশিসকে কাজীপাড়া বাজার থেকে বরণ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন । উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি পুরসভার উপ পৌরপিতা রাজেশ কুমার সিং, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ চন্দ্র মজুমদার সহ অন্যরা।

অন্যদিকে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মাসুম হামিদ পারভেজ ইউক্রেনের কিভ মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল । যুদ্ধের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছে হামিদকে । বাঙ্কারের মধ্যে অনিশ্চিত ভাবে গাদাগাদি ভিড়ে কথা বলে দিন যে কাটাতে হয়েছে এখন তা মনেই পড়ছে না।

স্থানীয় একটি ইউক্রেনীয় রেস্টুরেন্টের লোকজন হামিদকে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন। কোনওক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে হাঙ্গেরি। সেখান থেকে ভারত সরকারের সাহায্য মুম্বই। তারপর রাজ্য সরকারের সহায়তায় মুম্বই থেকে কলকাতা হয়ে একেবারে বাড়ি। এদিন বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামতেই মাসুনের বাবা মোহাম্মদ মোমিনুদ্দিন, মা হামেদা খাতুন সহ গোটা পরিবার মাসুদকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাসুমকে সংবর্ধনা জানান এসডিপিও শুভেন্দু মন্ডল, সঙ্গে ছিলেন আইসি সঞ্জয় কুমার দাস, ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version