Wednesday, August 27, 2025

ধনকড়কে ‘ট্যুইটপাল’ বলে খোঁচা, ২০২৪-এ আর ফিরবে না বিজেপি, বললেন পার্থ

Date:

জগদীপ ধনকড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar) ‘ট্যুইটপাল’ বলে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি বলেন, ‘ট্যুইটপাল দেখার অভ্যাস নেই৷ আমরা রাজ্যপাল দেখেছি আগে।’ পার্থ আরও বলেন, ঘন ঘন যারা রাজভবনে যান, আজ যখন রাজ্যপালের ভাষনের উপর ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব নিয়ে আসা হয় তখন তারাই সেটা করলেন না।

 

বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির পরিষদীয় দল, ভুল পথে চালিত দল। কোনও দায়বদ্ধতা ওদের মানুষের ওপরে নেই। তাদের বিধায়করা অভব্য আচরণ রাজ্যপালের সামনে করেছেন। গরিমা, ঐতিহ্য সব নষ্ট করেছেন। বিধানসভার গরিমা, ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সুদীপ-মিহিরের অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সবার সব সদস্যরা এই সাসপেনশনকে সমর্থন করেছেন। এর পরেও এরা এসে আচরণ বদলানেন না।”

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি (BJP) বিরোধী একমাত্র মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন আবারও বলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব। বলেন,”২০০ বলা দল এখন ৭৭। এখন আবার ৩০-এ পৌঁছেছে। এর পরেও মনে মনে অনেকে চলে গেছেন। চিন্তন শিবিরে অনেক চিন্তা দেখলাম। যারা ২০০ পার বলতেন, তাদেরকে গঙ্গা পার করে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। পুরসভা নির্ববাচনেও রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসেরকে সমর্থন জানিয়েছেন। ভয় কারা পাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে।” এদিন পার্থ সাফ জানিয়ে দেন, “মানুষের মনের থেকে এই বিজেপি সরকার চলে গেছে। ২০২৪- এ আর ফিরবে না।”

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ৫ রাজ্যে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ, বাড়তি নজর উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে

এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) আরও একবার বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। বলেছেন, “পুরনো হয়ে যাওয়া ইস্যুকে আবার তুলে আনা অভ্যাস৷ ওদের কাছে দল বড়। দেশ, রাজ্য বড় নয়। তাই পরীক্ষা সত্ত্বেও মিছিল করছে।”

বিধানসভায় সুদীপ-মিহিরের সাসপেনশন নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা কারো বাড়ি নয়, শান্তিকুঞ্জ নয়। যে যা মনে হল করে গেলাম। যদি অধ্যক্ষ অনুমতি দেন তাহলে লবিতে বসে ধরনা দেবেন। যদি অনুমতি না থাকে তার পরেও যদি করেন তাহলে বিধানসভায় আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।”

গোয়াতে তিন চার মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন বলেও জানান তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী।

পার্থ বলেন, “ভেবেছিলাম ওদের বোধদয় হবে, কিন্তু আজকেও দেখলাম ওদের বোধদয় হয়নি।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও হই হই করলেন। যারা প্রতিদিন বলেন তাদের বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। যদিও অধ্যক্ষ তাদের টাইম দিলেন। বক্তার তালিকা দিয়েও তারা কথা বললেন না। রাজ্যপালের অনেক বিষয় সেদিন আমাদের দৃষ্টিকটু লেগেছিল। যারা ঘন ঘন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তারাই রাজ্যপালের ভাষণে অংশ না নিয়ে কি সম্মান দেখালেন?”

 

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...
Exit mobile version