Friday, August 22, 2025

মৃতার দেহ আগলে নিশি যাপন,এক বা দুদিন নয় বিগত পাঁচদিন ধরে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) মেমারির(Memari)কৃষ্ণ বাজার(Krishna Market)এলাকার ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিটের (robinson street)ছায়া। দিদির পচাগলা দেহ আঁকড়ে পড়ে রইলেন বোন, অবশেষে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যপক।

visva bharati : বিশ্বভারতীতে পরীক্ষা বয়কট পড়ুয়াদের, ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের

পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃতার নাম সুপ্তিকণা কোলে (Suptikona Koley),বয়স ৬১। মেমারির কৃষ্ণ বাজার কলেজ মোড় এলাকায় একটি ভগ্নপ্রায় দোতলা বাড়িতে তিনি তাঁর বোন মুক্তিকণা কোলের (Muktikona Koley)সঙ্গে থাকতেন। তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। ভগ্নপ্রায় দোতালা বাড়িতে কারও আসা-যাওয়া ছিল না। বাড়িতে ইলেকট্রিকের কানেকশন ছিল না এমনকি পানীয় জলের সংযোগও নেই। স্বাভাবিক সামাজিক জীবন যাপনের যা শর্ত, তা থেকে অনেকটাই দূরে থাকতেন এই দুই বোন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুই বোন পাশের একটি আশ্রম থেকে প্রতিদিন খাবার নিয়ে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হত, বলছেন পড়শিরা।

ভগ্নপ্রায় সেই বাড়ি

ভগ্নপ্রায় বাড়ির পিছনের সেই আশ্রম থেকে বিগত কয়েকদিন ধরে খাবার নিচ্ছিলেন না দুই বোনের কেউই। বুধবার রাত্রে মুক্তিদেবী আশ্রমে গেলে তাঁর কাছে দিদির বিষয়ে জানতে চান আশ্রমিকরা। তখন তিনি জানান, দিদি বাড়িতে আছেন কিন্তু কথা বলছে্ন না। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। আশ্রমের আবাসিক ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বেরতে থাকে, সন্দেহ আরও জোরালো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে বাড়ির ভিতর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে অনুমান, দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে সুপ্তিকণা দেবীর। তবে কী কারণে মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই মৃতার বোন মুক্তিকণা কোলের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে , তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...
Exit mobile version