বাবার অস্ত্রোপচার শেষ হতেই গাড়ি চালিয়ে কর্মিসভায় বাবুল, উষ্ণ অভ্যর্থনা সমর্থকদের

বিধানসভার সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের কাছে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাবুল

তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্র করে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রথম কর্মিসভা কার্যত জনসভার রূপ নিল। বিধানসভার সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের কাছে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাবুল। তৃণমূল প্রার্থী আসার আগেই এদিন স্থানীয় পার্ক হল কানায় কানায় ভরিয়ে তোলেন দলীয় কর্মীরা।

কর্মিসভায় বাবুল ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের এমন আয়োজন দেখে আপ্লুত। কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি বলেন, “এখানকার মানুষের এমন ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে আমি তাঁর প্রতিনিধি মাত্র। নেত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার উপর ভরসা রাখার জন্য। আমাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।”

বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে বাবুলের নাম ঘোষণা হওয়ার পর দলের একাংশে মধ্যে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে এদিন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে বাবুলের প্রথম কর্মিসভায় সেসব উধাও। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার আগে বাবুল বলেন, “আমি দীর্ঘ আট বছর একটি অন্য দলে ছিলাম। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছি। আমার নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই প্রশ্ন ওঠার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছি না। আমি দিদির প্রতিনিধি। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সকলকে নিয়ে চলতে চাই। কারও মনে কোনও প্রশ্ন থাকলে সেটা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেব। শুধু এটুকু বলবো, আমি যখন যেখানেই থাকি, সেখানেই মন দিয়ে কাজ করি। শুধু দল পরিবর্তন করলে তো হবে না, কাজের মাধ্যমে আমাকে সেটা প্রমাণও করতে হবে। এবং আমি সেই চেষ্টাই করবো।”

পাশাপাশি বাবুল আরও বলেন, “অন্য দল থেকে নতুন কেউ দলে আসলে যেমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, ঠিক একইভাবে আমার পুরনো দল বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার লোকেরা আমার পুরনো ভিডিও থেকে কিছু বাছাই করা ফুটেজ নিয়ে সেগুলি এখন বাজারে ছাড়ছে। তারও জবাব দিতে তৈরি আমি।”

তবে এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে যেভাবে সম্মান দিয়েছে, স্বাগত জানিয়েছে তাতে আপ্লুত বাবুল। প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী। এদিন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বাবার অস্ত্রোপচার হয় বলে জানান তিনি। বাবুল বলেন, “সকাল থেকে হাসপাতালে ছিলাম। আমার বাবার বয়স ৮৪ বছর। এদিন তাঁর তিনটি স্টেন্ট বসেছে। সেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিষ কুমারের অফিসে কিছু কাজ সেরে সোজা কর্মীসভায় চলে এসেছি। কারণ, কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হওয়াটাও আমার কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা।

প্রসঙ্গত, এদিন কর্মিসভায় আসা পর্যন্ত বাবুলের সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাইজার জামিল। বাবুল নিজেই গাড়ি চালিয়ে পাক সার্কাস বেনিয়াপুকুরের কর্মিসভায় আসেন। এছাড়াও কর্মীসভায় ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশীষ কুমার সহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন- আইপিএল ২০২২: বায়ো বাবল ভাঙলে পেতে হবে ‘কঠিন শাস্তি’, নির্দেশ বোর্ডের

Previous articleআইপিএল ২০২২: বায়ো বাবল ভাঙলে পেতে হবে ‘কঠিন শাস্তি’, নির্দেশ বোর্ডের
Next articleআইসিসি টেস্ট ক্রমতালিকায় বিরাট পতন কোহলির, উঠে এলেন বুমরা