ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি রাজভবনে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। তারপর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে সেই চিঠি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Tweeter Handle) পোস্ট করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজভবনে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।
চিঠিতে রামপুরহাটের ভয়াবহ ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে বিধানসভায় তুলকালাম নিয়ে আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য় নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন বলে লেখেন রাজ্যপাল।
WB Guv Shri Jagdeep Dhankhar has invited Chief Minister Smt. Mamata Bannerjee for interaction during the week at Raj Bhawan to deliberate worsening law and order in the state, particularly in view of alarmingly worrisome developments #RampurhatViolence & State Legislature. 1/3 pic.twitter.com/PNejmUwa8s
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 29, 2022
বগটুইয়ের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে রাজ্যের শাসকদল জানিয়েছে, তারা সহযোগিতা করবে। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) নিজেও সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, যদি সিবিআইয়ের তদন্ত স্বচ্ছ না হয়, তাহলে তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করবেন। এই মন্তব্যের উল্লেখ করে ধনকড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) মত, হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া তদন্ত নিয়ে এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর কাজকে স্বীকৃতি দিতে পিএম মিউজিয়াম মোদি সরকারের
সব বিষয় নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধাচরণ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। বগটুইয়ের ঘটনায় যেখানে সিবিআই তদন্ত চলছে, সেখানে তিনি কীসের আলোচনা চাইছেন! বিধানসভায় বিজেপির বিধায়করা তুলকালাম করেন। নাক ফাটে তৃণমূল বিধায়কের। সেক্ষেত্রেও বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের কাছে দরবার করেন। এই কারণেই, তৃণমূল-সহ রাজ্যের বিজেপি বিরোধীদলগুলি ধনকড়ের আচরণ বিজেপি নেতার মতো বলে বারবার অভিযোগ করে। এদিনের এই চিঠির বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করতেই এই আচরণ ধনকড়ের বলে অভিযোগ।
রামপুরহাট কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠান তিনি। এই দুটি বিষয়ে যোগসূত্র রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।