বুকের মধ্যে জ্বলছিল বিচারের আগুন, এবার নিজেই আইন হাতে তুলে নিলেন হতভাগ্য বাবা(father)। মেয়ের ধর্ষণকে শাস্তি দিলেন নিজের হাতে। ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের(Rape) অভিযোগ ওঠে বছর ৫৪ এর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নীরবে অন্যায় মেনে নেননি কিশোরীর জনক। প্রতিবাদের আগুন বুকে চেপে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন, আর তারপর চরম ঘটনা। অনুমান মাছ কাটার বঁটি দিয়েই সম্ভবত অভিযুক্তের(accused) মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। নদী থেকে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এহেন ঘটনা মধ্যপ্রদেশের( Madhya Pradesh)।

মন্দিরের বাইরে মুসলিম হকার নিষিদ্ধ কর্ণাটকে, সরকারের বিরুদ্ধেই সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যায়, সোমবারই পুলিশের কাছে খবর আসে যে অজনল নদীতে এক মুণ্ডহীন দেহ ভাসতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ সন্ধান করে জানতে, মৃত ব্যক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ। কিশোরী কন্যার ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবার ও মামার বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে এসডিওপি রাকেশ পেন্ড্রো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েটির বাবা ও মামা ত্রিলোকচাঁদকে বাইকে বসিয়ে নদীর ধারে নিয়ে যান। তারপর সেখানেই তাঁর মাথা কেটে খুন করেন দু’জনে। এরপর দেহটি দুই খণ্ডে কেটে সেটাও ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে, এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ।

মাছ কাটার বঁটি দিয়েই সম্ভবত অভিযুক্তের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তে জানা গেছে মৃত ব্যক্তি ও অভিযুক্তদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
