Emergency-Sri Lanka : চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কট, জরুরি অবস্থা জারি শ্রীলঙ্কায়

অর্থসঙ্কটে দিশাহারা দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অবশেষে জরুরি অবস্থা জারি করা হল। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শুক্রবার মধ্যরাতে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন । এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন: গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ অর্থ সঙ্কটে ধুকছে শ্রীলঙ্কা।

ঋণের ভারে জর্জরিত দেশ। জ্বালানির যোগান নেই । তাই পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। খরচ বাঁচাতে ১০-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া আর কোনও দ্বিতীয় পথ ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও অর্থ বিশেষজ্ঞদের মতে তামিল বিদ্রোহীদের সমূলে বিনাশ করতে নিয়ন্ত্রণহীন এবং পরিকল্পনাবিহীন ভাবে টাকা খরচ করেছিল শ্রীলঙ্কার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট।

সেই পদক্ষেপের পরিণতিতেই এই করুন অবস্থা দেশজুড়ে। ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা বিদেশি মুদ্রার সংগ্রহও প্রায় তলানিতে। জানা গিয়েছে চলতি বছর বিদেশি ঋণ এবং সুদ মেটাতে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার প্রয়োজন শ্রীলঙ্কার। অথচ দেশে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় মাত্র ২৩১ কোটি ডলার।

রাজকোষের কথা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা বিন্দু বিন্দুমাত্র মাথায় না রেখে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে সামরিক খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব না রেখে শুধুমাত্র খরচ কে প্রাধান্য দেওয়ায় শ্রীলঙ্কা বর্তমানে চূড়ান্ত অর্থ সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে।

আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি।জ্বালানি তেল কেনার টাকা নেই। ওষুধপত্র, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, খাবার, শিশুখাদ্যের দাম এতটাই চড়চড়িয়ে বেড়ে গিয়েছে যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা কেনার ক্ষমতা নেই । দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ -বিদ্রোহ বেড়েছে । প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন। উত্তাল হয়েছে দেশ । আর এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দেশের হাল ধরতে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না বলে বিবৃতি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

 

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article১২ দিনে ১০ বার বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম